সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বিএনপির সমর্থন কমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র যদি তাদের কথায় ঠিক থাকে, তাহলে এই মুহূর্তে বিএনপি নেতাদের ওপর ভিসানীতি প্রয়োগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে এলে কিছু সুযোগ ছিল তাদের। বয়কট করে সরকার পরিবর্তন করা যায় না। বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায়। তাদের ওপর অবশ্যই ভিসানীতি দেওয়া উচিত। হয়তো দিয়েছেও। কারণ, আমেরিকা নাম প্রকাশ করে না।
শুক্রবার রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবন হাফিজ কমপ্লেক্সে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ড. মোমেন বলেন, বৈঠকে প্রতিনিধিদল দেশের বড় দুটি দলের মধ্যে তিক্ততা কীভাবে কমানো যায় এবং বিএনপি নির্বাচনের না আসার কারণ জানতে চেয়েছে। এর জবাবে আমি প্রতিনিধি দলকে বলেছে- তাদের (বিএনপির) নেতৃবৃন্দের মধ্যে ডায়লগের অভাব। তবে বড় দলগুলোর মধ্যেও সংলাপ থাকা জরুরি।
ভোটারদের অংশগ্রহণ সম্পর্কে প্রতিনিধি দলকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি। তবে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী যারা তারা খুব একটা শক্তিশালী নয়। আর বিশেষ করে বিরোধী দল নেই। ফলে অনেকেই ভাবছে যে উনি তো জিতে যাবে, আমার দলের অনেক লোকও ভাবে উনি তো জিতে যাবে তাহলে লাইনে দাঁড়াবো কেন? তবে আমি আশা করি- তারা এসে ভোট দেবেন।
এটি ছাড়াও ভোটার উপস্থিতিতে ৩ দিনের ছুটি প্রভাব ফেলবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই তারিখটা (৭ জানুয়ারি) আমি আগে খেয়াল করিনি। সপ্তাহের প্রথম ওয়ার্কিং ডে। আমেরিকাতে সবসময় ভোট হয় মঙ্গলবার। এটা সপ্তাহের মাঝামাঝি। আমাদের এখানে যদি ৭ তারিখ না হয়ে ৯ তারিখ হতো, রোববার না হয়ে যদি মঙ্গলবার হতো তাহলে লোকজন শহরে থাকতো, ভোট দিত। এখন ৩ দিনের বন্ধে অনেকেই ট্যুরে যাবে, অনেকে বাড়িতে যাবে। তাতে কিছু ভোটার আমরা হারাব। সারাদেশ জুড়েই, এটা নিয়ে আমরা আগে চিন্তা করিনি। এটা আমাদের চিন্তায় থাকা উচিত ছিল।
জাতীয় পার্টির অনেকে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার, হয়তো টাকা-পয়সা পেয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। কেউ নির্বাচন বানচাল করতে চাইলে নির্বাচন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। যারা নতুন ভোটার তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে যাবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি
এর আগে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ৩ সদস্যের মার্কিন প্রতিনিধি দল। সাক্ষাৎকালে নির্বাচন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
মার্কিন পর্যবেক্ষক দলে ছিলেন আইআরআইয়ের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিনিয়র উপদেষ্টা জেওফ্রি ম্যাকডোনাল্ড, আইআরআইয়ের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার অমিতাব ঘোষ ও আইআরআইয়ের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডেভিড হোগস্ট্রা।
More Stories
শাহজাহান ওমরের হুংকার, ‘আমি আবারও এমপি-মন্ত্রী হব’
গ্রেপ্তারের পর ঝালকাঠি-১ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর হুংকার দিয়ে বলেছেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, এসব মামলা আমার...
মুহাম্মদ ইউনূসকে যেতে দেবেন না, ধরে রাখুন : শফিক রেহমান
অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কাজ করতে সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শফিক রেহমান। তিনি বলেন, “তাকে...
বিচারের পর আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে : ড. ইউনূস
ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগ যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে সেগুলোর বিচার শেষে দলটিকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে বলে...
সেনাকুঞ্জে হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া
ছয় বছর পর প্রকাশ্যে কোনো অনুষ্ঠানে দেখা গেল হাস্যাজ্জ্বল খালেদা জিয়াকে। সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পাশের আসনে...
শেখ হাসিনাকে ফেরানোর নির্দেশনা নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তৌফিক হাসান বলেছেন, ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে দুই দেশের বৈঠকে আলোচনার সুযোগ...
খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কথা বললেন উপদেষ্টা মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ...