Read Time:4 Minute, 26 Second

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভোলকার তুর্কের চিঠির জবাব দিয়েছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ভোলকার তুর্ককে পাঠানো চিঠিতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তরকে বাংলাদেশ বিষয়ে তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের পর মন্তব্য করার আহ্বান জানানো হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার মনে করছে, পূর্ণাঙ্গ তথ্য ছাড়াই তড়িঘড়ি করে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। নিরপেক্ষ সূত্র থেকে পাওয়া ২৮ অক্টোবরের সহিংসতার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ, তথ্য-উপাত্ত বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘকে দিয়েছিল। কিন্তু সেগুলো আমলে না নিয়ে এবং সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করেই মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর তড়িঘড়ি একটি একটি প্রেস নোট দিয়েছে।

সরকার বলেছে, সংবিধানের বাধ্যবাধকতার আলোকে সরকার বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলকে সভা, সমাবেশ, মিছিল করতে দিচ্ছে। কিন্তু বিএনপির উশৃঙ্খল কর্মীরা তাদের নেতাদের প্ররোচনায় গত ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ও ২৯ অক্টোবর হরতাল ডেকে অরাজনৈতিক পুলিশ সদস্য, সিসিটিভি ক্যামেরা, বিচার বিভাগ, গণমাধ্যম, নিরাপরাধ নাগরিক, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও সরকারি সম্পদের ওপর হামলা চালিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। একজন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শতাধিক পুলিশ সদস্য বিএনপির হামলায় আহত হয়েছেন। ওই নৈরাজ্যের সময় একজন বাস কন্ডাক্টরকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের অন্য বিচারকদের বাড়িতেও হামলা হয়েছে। এরপর দেশজুড়ে বিএনপির জ্বালাও পোড়াও আতঙ্ক সৃষ্টির কর্মসূচিতে আরও কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, দায়িত্বরত গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর হামলা ও তাদের টিভি ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। অন্তত ২৫ জন সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। তাদের কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টস (বিএফইউজে) বিএনপি কর্মীদের ওই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। গণমাধ্যমকে লক্ষ্য করে বিএনপির হামলার বিষয়ে আপনার দপ্তরের নিরপেক্ষ তদন্ত করা উচিত।

বিএনপির হামলার পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ধৈর্য ধরেছেন জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, বিএনপির সহিংসতা, পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংযম দেখিয়েছে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত এই সরকার আইনের শাসন ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

বিএনপি চেয়ারপারসনের বিষয়ে বলা হয়, খালেদা জিয়া বন্দি নন। দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর মানবিক বিবেচনায় তার সাজা স্থগিত করে মুক্তি দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। দেশে সর্বোচ্চ মানের হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। তার চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে চিকিৎসক আনারও অনুমতি দিয়েছে সরকার।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post বিদেশি হস্তক্ষেপ নয়, নিজেদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে: ড. কামাল
Next post নির্বাচন কমিশন বাতিল করুন, তারপর তফসিল: রিজভী
Close