অগ্নিসন্ত্রাসীদেরকে ধরতে জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসীরা যে যেখানে যেভাবেই থাকুক, যারা গাড়ি পোড়াবে, মানুষকে পুড়িয়ে মারবে সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে ধরতে হবে। আর এজন্য জনগণকেই এগিয়ে আসতে হবে।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ-সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
দলটির প্রচার সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ ও উপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীমের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমন্ডরীর সদস্য শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, তাজউদ্দিন আহমেদের কন্যা সিমিন হোসেন রিমি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. মুষফিক হোসেন, সৈয়দ নজরুল ইসলামের কন্যা ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, কুলাঙ্গার তারেক রহমান লন্ডনে বসে বসে নির্দেশ দিচ্ছে জালাও-পোড়াও করার জন্য। জীবনে আর রাজনীতি করবে না, সেই মুচলেকা দিয়ে সে পালিয়ে গেছে। সেখানে আরাম-আয়েশে জীবন যাপন করছে। জুয়া খেলে না কী কোটি কোটি টাকা আয় করে। জুয়া খেলাই না কী তার মূল আয়।
বিএনপির অবরোধ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৩-১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত অবরোধ ডেকেছিল। জনগণ তাদের সেই অবরোধ মানেনি, প্রত্যাখ্যান করেছিল। তারা নিজেরাই অবরুদ্ধে হয়ে পড়েছিল। এবার অবরোধে যারা বাসে আগুন দেবে, সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধরে সেই হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। সারা দেশে তাদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে। খুঁজে খুজে পুলিশ হাতে ধরিয়ে দিতে হবে। প্রতিটি এলাকায় অগ্নিসন্ত্রীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু তারা নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না। তারা নির্বাচনে আসবে কী না জানি না, তবে যদি আসেও তখন বুঝতে হবে তারা নমিনেশন বাণিজ্য করার জন্যই নির্বাচনে আসবে। আর আওয়ামী লীগের কেউ যদি মনে করে বিএনপি নির্বাচনে আসবে না, সেজন্য একটা সিট না পেলেও কিছু যায় আসে না, আমি তাদেরকে বলব- এই কথাটা মাথা থেকে ঝেরে ফেলে দিতে হবে। এটাই সর্বনাশ করে দেবে। কাজেই সতর্ক থাকতে হবে।
শেখ হাসিনা আরো বলেন,বৈশ্বিক মন্দা সত্বেও আমাদের উৎপাদন কমেনি। কোনো পণ্যেরও অভাব নেই। তারপরেও এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী আছে তারা পণ্য মজুদ করে, মাল বাজারে নিয়ে আসে না, গোডাউনে পচিয়ে ফেলে। জনগণের পকেট কাটে। আমি রাজনৈতিক নেতাদের বলব, এদেরকে খুঁজে বের করুন। এদেরকে বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।
More Stories
দেশে এতোদিন বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ ছিল না: প্রধান উপদেষ্টা
বিদেশি বিনিয়োগের জন্য দেশে আগে কখনো এত অনুকূল পরিবেশ ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।...
নাসার সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি, মহাকাশ গবেষণায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা
বাংলাদেশ এখন ‘আর্টেমিস অ্যাকর্ডস’র ৫৪তম স্বাক্ষরকারী দেশ, যা যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ ও অসামরিক মহাকাশ অনুসন্ধানকে উৎসাহিত...
নববর্ষের র্যালির জন্য তৈরি হচ্ছে ‘স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি’
নববর্ষের র্যালিতে প্রদর্শনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে তৈরি হচ্ছে পতিত স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি। বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এই প্রতিকৃতি।...
প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন পিটার হাস
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানির মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি অ্যাকসিলারেট এনার্জির স্ট্রাটেজিক উপদেষ্টা পিটার হাস আজ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের...
বাংলাদেশে আরও এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে এনডিবি
পাঁচটি বিকাশমান অর্থনীতির জোট ব্রিকসের উদ্যোগে গঠিত নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। সংস্থাটি আরও...
রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদন: ড. ইউনূসকে জড়িয়ে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে নিয়মিত হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর ঘটনা সে...