Read Time:3 Minute, 41 Second

জেরুজালেম সফররত ক্যাথলিক চার্চের প্রধান পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট আজ প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের পাশে দাঁড়িয়ে ‘সার্বভৌম ফিলিস্তিনি মাতৃভূমি’র পক্ষে জোরালো জনসমর্থন ব্যক্ত করেছেন। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘হলি সি আপনাদের পূর্বপুরুষদের নিজভূমিতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমানার মধ্যে প্রতিবেশীদের সাথে নিরাপদ ও শান্তিতে আপনাদের জনগণের সার্বভৌম ফিলিস্তিনের অধিকারকে সমর্থন করে।’
আব্বাসকে পাশে নিয়ে পোপ বলেন, তিনি ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ বুঝতে পারেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক ও সৈন্যরা গাজা শহরের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু হামাসের কাছ থেকে তীব্র প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়।
পাঁচ দিনের সফরে সোমবার ইসরায়েলে পৌঁছে পোপ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর উপস্থিতিতেও ফিলিস্তিনিদের মাতৃভূমির আহ্বান জানান।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট পোপের প্রতি তার অভিবাদনে বলেন, ‘এই পবিত্র ভূমিতে তারা (ইসরাইল) এখনও আমাদের সংযোগ করতে পারে এমন সেতু নির্মাণের পরিবর্তে দখলদারিত্ব ও বিচ্ছিন্নতার দেয়াল নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে, তারা দখলদারিত্বের বল প্রয়োগ করে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের দেশত্যাগে বাধ্য করছে।’
আব্বাসের সাথে সাক্ষাতের পর, পোপ যীশুর জন্মস্থানে নির্মিত চার্চ অফ দ্য নেটিভিটি এবং একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করবেন।
তিনি ইতালীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দুটি জনগোষ্ঠীকে অসলো চুক্তি অনুযায়ী জেরুজালেমকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে দুটি সুসংজ্ঞায়িত রাষ্ট্্েরর সমন্বয়ে দ্বি-রাষ্ট্র-ভিত্তিক বিজ্ঞ সমাধান মেনে একসাথে থাকতে হবে।
এদিকে নেতানিয়াহু বলেছেন, ফিলিস্তিনিরা এখন পর্যন্ত নিজেদের শাসন করার প্রস্তুত নয়, তিনি ইসরায়েলের পাশাপাশি একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণাকে সমর্থন করার আন্তর্জাতিক চাপকে প্রতিহত করেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, ইসরায়েলিরা হলোকাস্টের জন্য পর্যাপ্ত অনুশোচনা প্রকাশ করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য জার্মান বংশোদ্ভূত পোপের সমালোচনা করে।
পোপের সফর উপলক্ষ্যে ইসরাইল গাজার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রায় ১০০ সদস্যের একটি দলকে ইসরায়েল হয়ে পশ্চিম তীরে ভ্রমণ করার অনুমতি দেয়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
Next post পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ‘রুদ্ধদ্বার’ বৈঠক
Close