Read Time:3 Minute, 18 Second

আরব দেশগুলোতে সফরে এসে তোপের মুখে পড়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। চলতি সপ্তাহের শুরুতে তিনি সৌদি আরব ও মিসরের শীর্ষ নেতাদের সন্তুষ্ট করতে ব্যর্থ হন।

তিনি ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে কথা বলেন। এসময় দুই দেশের শীর্ষ নেতারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি ‘গভীর সমবেদনা’র কথা তাঁকে জানিয়েছেন। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

দুই নেতার সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে রবিবার (১৭ অক্টোবর) ব্লিংকেন সাংবাদিকদের বলেন, তিনি বেশ কিছু ভালো ধারণা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন, যা সামনের দিকে এগোতে তাঁকে সহায়তা করবে। এ নেতাদের সঙ্গে তাঁর মতানৈক্য হয়েছে গাজায় ইসরায়েলের ব্যাপক হামলাকে কেন্দ্র করে। যুবরাজ সালমান ও প্রেসিডেন্ট সিসি উভয়েই এ হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

হামাসের হামলার জন্য নিন্দা কুড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের এ শীর্ষ কূটনীতিক মধ্যপ্রাচ্য চষে বেড়াচ্ছেন। রিয়াদে প্রিন্স সালমানের সঙ্গে বৈঠক করার আগে তাঁকে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষায় রাখা হয়। পরে যখন তাদের মধ্যে বৈঠক শুরু হলো, প্রিন্স সালমান ‘নিরপরাধ লোকজনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া’ সামরিক অভিযান বন্ধের ওপর জোর দেন।

সেই সঙ্গে গাজার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নিয়ে ফিলিস্তিনিদের জন্য পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের আহ্বান জানান। যুবরাজ সালমান ‘চলমান উত্তেজনা নিরসনে’ কাজ করতেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পুরোপুরি বিপরীত। যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে নির্মূল করতে ইসরায়েলকে সহযোগিতা করে আসছে।

মিসরে আরও বড় তোপের মুখে পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার মার্কিন কর্মকর্তারা ঘোষণা দেন, সাময়িক সময়ের জন্য গাজার রাফা ক্রসিং খুলে দিতে তারা কায়রোর সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু পরে সীমান্ত খোলেনি, গাজা থেকে কেউ মিসরেও প্রবেশ করতে পারেননি। মার্কিন ও মিসরের কর্মকর্তাদের বক্তব্যের মধ্যেও দেখা গেছে বিস্তর ফারাক।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post রাষ্ট্রপতির ওপেন হার্ট সার্জারি বুধবার
Next post ‘পাল্টা হামলা শুরু করলে কেউ মুসলমানদের মোকাবিলা করতে পারবে না’
Close