আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুই চালান ইউরেনিয়াম এসেছে। বেশি লাফালাফি করলে কিছু ফখরুলের মাথায়, কিছু মঈন খানের মাথায়, কিছু আব্বাসের মাথায়, কিছু রিজভীর মাথায় ঢেলে দেব। এখন ডান্ডা মেরে নয়, ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেব।
সোমবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর গাবতলী থেকে মিরপুর রোডগামী সড়কের মাঝখানে মঞ্চ তৈরি করে সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। সেই সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা রূপপুর বন্ধ করতে চায়, তাদের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেব। ভোট হবে। আগামী জানুয়ারিতে ভোট হবে। তার আগে নভেম্বরে কোয়ার্টার ফাইনাল এবং ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ভোট হবে, জানুয়ারিতে ভোট হবে। ডিসেম্বরে সেমিফাইনাল, নভেম্বরে কোয়ার্টার ফাইনাল। ভোট হবে, খেলা হবে। খেলা ছাড়া উপায় নেই বিএনপির সঙ্গে। বিএনপির বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ভোট চোরের বিরুদ্ধে, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে। সারা বাংলায়, সারা ঢাকায় খেলা হবে। জোরে জোরে খেলা হবে। ফাউল করলে লালকার্ড, ফাউল করলে হলুদ কার্ড।
তিনি বলেন, চলবে আন্দোলন। ফখরুল বলে ঢাকা অচল করে দেবে অক্টোবর মাসে। ঢাকা অচল করতে এলে ঢাকাবাসী বিএনপিকে অচল করে দেবে। অচল করতে এলে নিজেরা অচল হয়ে যাবে। ইউরেনিয়ামের দুটি চালান এসে গেছে। পুতিন (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট) প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেছেন। বাংলাদেশে সাংঘাতিক আলো ঝলমলো পরিবেশ হবে। এতে ফখরুলের অন্তর্জ্বালা, মঈনুদ্দিন খানের (মঈন খান) অন্তর্জ্বালা। রূপপুর বন্ধ করে দেবে বলেছে, কে বলেছে? আমরা বলছি রূপপুর যারা বন্ধ করতে চায় সে ফখরুল, মঈন খানের মাথায় রাশিয়ার ইউরেনিয়াম ঢেলে দেব। দুই চালান আসছে। সেটা আমরা কিছু ফখরুলের মাথায়, কিছু গয়েশ্বরের মাথায়, কিছু আব্বাসের মাথায়, কিছু মঈন খানে মাথায়, কিছু রিজভী পাগলার মাথায়.. যে লাফাবে মাথায় ইউরিনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেব। ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করবো না, ইউরেনিয়াম মাথায় ঢেলে ঠান্ডা করে দেব।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে কাদের বলেন, কবে আসবেন, ডেটটা দেন না। ডেট দেন, লাফালাফি, নাচানাচি, বাড়াবাড়ি বন্ধ করেন। ভালো হবে না। বেশি লাফালাফি করলে অবস্থা খারাপ হবে। আমরা প্রস্তুত।
মেয়র আতিকুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে কাদের বলেন, ডেঙ্গু থামছে? মেয়র সাহেব নকল ওষুধ আনিয়েন না, ভালো ওষুধ আনেন। মানুষ অস্থির হয়ে গেছে। আপনি দৌড়াদৌড়ি করেন ভালো। ছোটাছুটি করেন ঠিক আছে। কিন্তু ঠিকমত মশাকে আঘাত করেন। মানুষ বড় কষ্টে আছে। খাওয়ার কষ্ট থাকবে না। শেখ হাসিনার রাতের ঘুম হারাম মানুষের কথা চিন্তা করে।
তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম বেশি, কিন্তু একটা মানুষও না খেয়ে মরেছে? শেখ হাসিনা মানুষের জন্য আছেন। কাউকে না খেয়ে মরতে দেবেন না। আমি খাবো না তবু মানুষকে খাওয়াবো। মানুষ বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে, আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ বাঁচবে।
More Stories
সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যাতে নিরাপদে থাকে: সালাহউদ্দিন
ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে না বরে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।...
‘চারদিকে ছড়িয়ে থাকা লাখ লাখ হাদির মতো আমিও ভয় পাই না’
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টা ও পরবর্তী বাংলাদেশ নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল...
দেশে ফিরছেন তারেক রহমান: প্রস্তুত হচ্ছে বাড়ি-কার্যালয়
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন। এ উপলক্ষে তার বাসভবন ও কার্যালয়ের সংস্কার কাজ প্রায় সম্পন্ন...
হাদির পরিবারকে সান্ত্বনা প্রধান উপদেষ্টার, সর্বোত্তম চিকিৎসার আশ্বাস
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির পরিবারকে সান্ত্বনা ও সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর...
সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত, লড়াই চলছে
সুদানে সন্ত্রাসীদের হামলায় ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) শনিবার খুদে বার্তায় এ কথা জানায়। আইএসপিআর...
‘হাদির অস্ত্রোপচারের সময় দুইবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) অস্ত্রোপচারের সময় দুইবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট...
