Read Time:5 Minute, 7 Second

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সফরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। তিনি জানান, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তবে সেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে কেউ কিছু জিজ্ঞাসাও করেনি।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবাবে এসব কথা বলেন। জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফরের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াশিংটনে যান। তিনি গত ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের দূতাবাস পরিদর্শন করেন। সেদিন সেখানেই মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাংবাদিক জানতে চান, জ্যাক সুলিভান কি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোনো কথা বলেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি।’ ‘এ ব্যাপারে কেউ কথা বলছে?’ পাল্টা প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে ওই সাংবাদিক জানান, এ রকম একটা কথা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের কোনো কথা হয়নি। কেউ আমাকে এ ধরনের কথা জিজ্ঞাসাও করেনি। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অভিজ্ঞতা ২০০৭ সালে ২০০৮ সালে হয়ে গেছে আমাদের। তারপর কেউ এটা চাইতে পারে? এই সিস্টেমটা বিএনপি নষ্ট করে দিয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, ওয়াশিংটন সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা হয়। তিনি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সরকারের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তার বিষয়ে আলোচনা হয়। আমি সবুজ জলবায়ু তহবিলে অর্থায়ন এবং ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ ফান্ডকে কার্যকর করার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছি।”

প্রধানমন্ত্রী জানান, জ্যাক সুলিভান নারী শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সন্ত্রাস দমনের মতো সরকারের অর্জনের প্রশংসা করেন। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য তিনি আবারও বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও জানান, সভায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে জোরদারের বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেছে দুদেশ।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থানকে যেমন আরও সুদৃঢ় করেছে, তেমনি বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও বিস্তৃত করবে বলে আমি আশাবাদী। সামগ্রিক বিবেচনায় এবারের জাতিসংঘ অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ অত্যন্ত সফল বলে আমি মনে করি।’

গত ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অধিবেশন শেষ হওয়ার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে এক সপ্তাহ অবস্থান শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্য যান। সেখান থেকে গত বুধবার (৪ অক্টোবর) দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post কতদিন টিকতে পারবেন, ক্ষমতা ছাড়তেই হবে : মির্জা ফখরুল
Next post ইসরায়েলের পাশে থাকার আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের
Close