Read Time:3 Minute, 1 Second

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ এনজিও ফ্রেন্ডশিপ এসপিও-এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান কন্টিক পরিচালিত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পানসি নৌকায় নদীভ্রমণ উপভোগ করেছেন।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ফ্রেন্ডশিপের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকাস্থ ফ্রান্স দূতাবাস ও ফ্রেন্ডশিপ এসপিও যৌথভাবে এ নৌকা ভ্রমণের আয়োজন করে।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুয়, ফ্রেন্ডশিপের প্রতিষ্ঠাতা রুনা খান এবং দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভ্রমণে ম্যাখোঁর সঙ্গে ছিলেন।

‘ফিশ ডি’ওর’ (সোনার তীর) নামের বৃহত্তম পানসিনৌকাটি ফরাসি প্রেসিডেন্টকে নিয়ে সকাল ১১টায় তুরাগ নদীর তীরে মিরপুরের বড় বাজার ইকো পার্ক ডক থেকে রওনা হয়।

নৌকাটি সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কর্ণাতলি নদীর মধ্য দিয়েও যাত্রা করে গ্রামীণ, নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ করে দেয়।

আয়োজকরা জানান, এই নৌকাভ্রমণ নদীকেন্দ্রিক, গ্রামীণ বাংলাদেশের জীবন ও জীবিকা এবং এসব জলপথের সঙ্গে জড়িত শতবর্ষের সংস্কৃতি ও ইতিহাস তুলে ধরে।

ভ্রমণকালে পানশীর যাত্রীরা নৌকা বাইচ, ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র ও বাউল গান এবং স্থানীয় মাছ ধরার কৌশলের একটি লাইভ প্রদর্শনী উপভোগ করেন।
উত্তরবঙ্গের নদী অববাহিকায় মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম ছিল পানসি নৌকা, যখন নদী ও উপনদীগুলো ছিল বিভিন্ন দ্বীপ ও গ্রামের সাথে সংযোগকারী প্রধান পথ।

বিশেষ করে ডিজেল ইঞ্জিন ও সাধারণ কারখানায় তৈরি নৌকার কারণে অপ্রচলিত হওয়ার আগে বাংলার কৃষকরা তাদের ক্ষেত থেকে বাজারে এবং অন্যান্য স্থানে ধান পরিবহনের জন্য এই নৌকা ব্যবহার করত।

মালামাল পরিবহন থেকে শুরু করে বাইচ, যাতায়াত, মাছ ধরা ও ভ্রমণসহ সবকিছুর জন্য এক সময় কাঠের নৌকা ব্যবহার করা হত।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post বাংলাদেশের কাছে ৫ হাজার টন বড় ইলিশ চাইলো ভারত
Next post যুক্তরাজ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের তিন বাংলাদেশি নিহত
Close