গত ১৮ জুলাই আমেরিকায় সন্ত্রাসী কর্তৃক বাংলাদেশি প্রবাসী ছাত্র ইয়াজউদ্দীনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে মানববন্ধন করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ নামের একটি সংগঠন।
মানববন্ধনে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ভুক্তভোগীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
পাশাপাশি মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) নিহতের স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে আমেরিকার দূতাবাসে গিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ চাওয়াসহ এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদলিপি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুলাই) বিকেল ৪টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি মশিউর রহমান।
মানববন্ধনে সংগঠনটির সদস্য সচিব আশরাফ হোসেন বলেন, ভাগ্য বদলানোর জন্য ইয়াজউদ্দীন আমেরিকা গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেনি। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হল। আমেরিকা মানবতা নিয়ে এতো কথা বলে কোথায় গেল তাদের মানবতা?
সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান বলেন, আমেরিকা বাংলাদেশের ছোট ছোট বিষয়েও কথা বলে। আমরা ধিক্কার জানাতে চাই ওই রাষ্ট্রকে, যার মুখে মানবতার কথা বলে। কিন্তু আমাদের দেশের এক তরুণ সেখানে হত্যার শিকার হয়েছে। সেই হত্যার বিষয়ে আপনাদের কোনো পদক্ষেপ নাই। আপনারা আমাদের দেশের মানবাধিকারের কথা বলেন। আপনাদের মানবাধিকার কোথায় এখন? আমরা এই হত্যার দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
বিনা কারণে বিদেশিদের সুড়সুড়ি দেওয়ার মনোভাব থেকে সরে আসার পরামর্শ দিয়ে ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, কিছুদিন আগে আমরা দেখলাম, হিরো আলমের কোথায় কি হলো, সেটা আপনারা আপনাদের অফিসিয়াল পেইজ থেকে বিবৃতি দিয়েছেন। অথচ আপনাদের দেশে যখন বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়, সেগুলো নিয়ে কোনো কথা বলেন না। আমাদের এক ভাই নিহত হয়েছেন, সেটা আপনারা দেখেন না। আমরা বলতে চাই, আপনার রাষ্ট্রে কে কীভাবে আমাদের সন্তানকে হত্যা করেছে, তা চিহ্নিত করে দ্রুত এর বিচার করুন।
ছাত্রদের পক্ষ থেকে কথা বলেন মুন্সি আরিফ হোসেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হত্যার শিকার হয়েছেন। তিনি সেখানে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন। তিনি যদি সেটা পুরোপুরি শেষ করতে পারতেন, তাহলে ভালো কিছু করতে পারতেন। কিন্তু এ বিষয়ে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কারও দায়িত্বশীল কোনো পদক্ষেপ আমরা দেখলাম না। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত আছেন, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি আমেরিকার দূতাবাস যেন এই পরিবারকে সব ধরনের আর্থিক সাহায্য করে সেই দাবিও জানাচ্ছি।
যদিও মানববন্ধনে নিহতের পরিবারের কোনো সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। শুধুমাত্র সচেতন নাগরিক সমাজের সদস্যরা এবং স্থানীয় সরকার দলীয় নেতারা এতে উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনের সভাপতিত্ব করেন সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি মশিউর রহমান। সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব আশরাফ হোসেন।
More Stories
ভিসা নীতির আওতায় পড়ছেন কারা স্পষ্ট করলেন পিটার হাস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধিনিষেধ কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে তা স্পষ্ট করেছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক...
বিদায়ী প্রধান বিচারপতি : মার্কিন ভিসা নীতিতে আমরা বিচলিত নই
বিদায়ী প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, রক্তের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছে, কারো অনুকম্পায় নয়। স্বাধীনতার সময় যারা বিরোধিতা করেছিল,...
বিএনপিকে আওয়ামী লীগের ৩৬ দিনের আলটিমেটাম
সহিংসতা বন্ধ করে সঠিক পথে আসার জন্য বিএনপিকে ৩৬ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন,...
আমেরিকার ভিসা নীতিতে আওয়ামী লীগের মাথা খারাপ হয়ে গেছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এক আমেরিকার ভিসা নীতিতে আওয়ামী লীগ সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এই সরকার...
শুনেছি আমাকেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে: রাঙ্গা
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, শুনেছি আমাকেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমি অখুশি...
আ.লীগ কোনো ভিসানীতির পরোয়া করে না: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ কোনো ভিসানীতির প্রয়োগ বা নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না। পরোয়া করে দেশের...