Read Time:4 Minute, 57 Second

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ছেড়ে দেওয়ার দিন শেষ, এখন খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ। আর কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। আমার অধিকার আমাকে রক্ষা করতে হবে।

বুধবার (১৯ জুলাই) ঢাকার আব্দুল্লাহপুরে শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে পদযাত্রা পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ শান্তি মিছিলের নামে অশান্তি তৈরি করছে মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপির মিটিং মিছিলে কোনো ধরনের ঝামেলা হয় না। আওয়ামী লীগ ঝামেলা তৈরি করতে চায় কেন? আমরা মিটিং-মিছিল করব, আপনারা ইট মারবেন (মঙ্গলবার বাংলা কলেজের সামনে সংঘর্ষের ঘটনার প্রসঙ্গে টেনে) আর আমরা ছেড়ে দেবো, এটা তো হবে না।

সংবিধানের বাইরে আমরা একচুলও নড়ব না, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাদুল কাদেরের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা আব্বাস বলেন, খুব ভালো কথা কাদের সাহেব। আপনার কথায় স্থির থাকেন। কথা হলো কোন সংবিধান? খায়রুল হকের সংবিধান নাকি বাংলাদেশের সংবিধান। আমরা চাই অখণ্ড সংবিধান, যেটি কাটাছেঁড়া করা হয়নি, সেটির অধীনে আমরা নির্বাচনে যাব। এছাড়া আপনাদের (আওয়ামী লীগ) তৈরি, খায়রুল হকের তৈরি সংবিধানের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাব না।

আব্বাস আরও বলেন, দেশের মানুষ ভোটের অধিকার আদায় করে নেবে। গত ১৫ বছর আপনাদের অত্যাচার সহ্য করেছি, জেল খাটতে শিখেছি। মৃত্যুবরণ করতে শিখেছি। মিছিল করতে শিখেছি। আর আপনাদের অত্যাচার সহ্য করব না। এবার অত্যাচারের জবাব দেব। গতকাল আপনারা নোয়াখালীতে আমাদের লোককে হত্যা করেছেন।

সমাবেশ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, এক দফার আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করে নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন করে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠাতা করব। দেশের মানুষকে বিএনপি আবারও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেবে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন আমিনুল হক।

এদিকে বিএনপির এ পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র ঢাকাজুড়ে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকছে যানবাহনগুলো। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বাইরে বের হওয়া লোকজন।

বুধবার (১৯ জুলাই) সকাল ১০টায় পদযাত্রা শুরুর কথা থাকলেও বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে আবদুল্লাহপুর থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে পদযাত্রা শুরু হয়। সকাল ৯টা থেকেই আব্দুল্লাহপুরে জড়ো হতে শুরু করেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তখন থেকে ঢাকার প্রবেশমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে বিমানবন্দর এলাকা পর্যন্ত তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। দুপুর ১২টার দিকে আব্দুল্লাহপুর থেকে বিমানবন্দর এলাকা পর্যন্ত যানজটের কারণে একই স্থানে দীর্ঘক্ষণ গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

আব্দুল্লাহপুর থেকে শুরু হওয়া পদযাত্রা বিমানবন্দর, কুড়িল, বিশ্বরোড, নতুন বাজার, বাড্ডা, রামপুরা ব্রিজ, আবুল হোটেল, খিলগাঁও, বাসাবো, মুগদাপাড়া ও সায়েদাবাদ হয়ে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হবে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ‘বাংলাদেশকে একটা মগের মুল্লুক পাইছে’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
Next post আরও শক্তিশালী হলো বাংলাদেশের পাসপোর্ট
Close