Read Time:4 Minute, 31 Second

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধনের তালিকা থেকে বাদ পড়ল নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ। সেই সঙ্গে মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য ও আমার বাংলাদেশ পার্টিসহ (এবি পার্টি) আরও ৮টি দল ছিটকে পড়ছে নিবন্ধনের তালিকা থেকে।

মাত্র দুটি দল এবার ইসির নিবন্ধন পাচ্ছে। দল দুটি হলো—বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)।

নতুন দুটি দলের বিষয়ে সোমবার (১৭ জুলাই) পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে ইসি।

রোববার (১৬ জুলাই) ইসির সভায় আলোচনার জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় ১২টি দলকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ১০টি দলের নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তথ্যের সঙ্গে মাঠের তথ্যের মিল পায়নি নির্বাচন কমিশন। ফলে দলগুলোকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে ইসি।

কমিশন সভা শেষে এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

তিনি বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে বিএনএম ও বিএসপি নিবন্ধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। বিষয়টি নিয়ে সোমবার পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তবে কারও কোনো আপত্তি থাকলে তা ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করে কমিশনপরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। আপত্তি নিষ্পত্তির পর কমিশন সন্তুষ্ট হলে দল দুটিকে নিবন্ধন দেওয়া হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ধাপে ধাপে যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে অফিস থাকার কথা, কমিটি থাকার কথা, জনবল থাকার কথা… এগুলো সব যাচাই করেছি। পুনরায় যাচাই করে এই দুটি দলের আইন অনুযায়ী সবকিছু থাকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এর পরই চূড়ান্ত হবে যে, কারা কারা নিবন্ধন পাবে। বাকি ১০টি দল যে তথ্য দিয়েছে মাঠ পর্যায়ে যাচাই করে গরমিল পাওয়ায় তাদের আবেদন বাতিল করা হয়েছে।

জানা গেছে, নতুন দল হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার সংক্ষিপ্ত তালিকায় ১২টি রাজনৈতিক দল ছিল। সেগুলো হচ্ছে— আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণঅধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডি)।

ওইসব রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ও মাঠ পর্যায়ের কার্যালয় সক্রিয় রয়েছে কিনা তা দুই দফা যাচাই করেছে ইসি। ওই দুই দফার প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে নতুন দল নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রয়েছে।

আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে ২১ জেলা ও ১০০ উপজেলা বা থানায় কার্যকর কমিটি ও কার্যালয় এবং প্রতিটি উপজেলায় দলের অন্তত ২০০ জন ভোটার থাকার নিয়ম রয়েছে। দুই দফায় এসব দলের মাঠ কার্যালয় ও কমিটি যাচাই করেছে ইসি। ওই দুই ধাপে পাওয়া প্রতিবেদন রোববার কমিশন সভায় তোলা হয়। এতে যারা শর্ত পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে, নিয়মানুযায়ী তারা নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post আ.লীগ যা বলে, ইসি তা-ই করে, ‘ঠুটো জগন্নাথ’: মির্জা ফখরুল
Next post তীব্র গরমে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্র, ভাঙতে পারে সব রেকর্ড
Close