Read Time:4 Minute, 52 Second

নির্বাচন কমিশনকে ‘ঠুটো জগন্নাথ’ অভিহিত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) হচ্ছে একটা ‘ঠুটো জগন্নাথ’, তাদের কোনো ক্ষমতা নেই। আওয়ামী লীগ যা বলে, তাই বাস্তবায়ন করে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন বলে বেড়াচ্ছে, তাদের অধিনে নাকি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সবাই যেন নির্বাচনে অংশ নেয়। এ যেন ‘ভূতের মুখে রাম, রাম’। প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগের চরিত্রই ভালো না।

রবিবার (১৬ জুলাই) বিকেলে নগরীর কাজীর দেউড়িস্থ নুর আহমদ সড়কে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মানে মানে সরে যান, এখনো সময় আছে। তা না হলে জনগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সরিয়ে দিতে বাধ্য হবে।

তিনি আরো বলেন, বন্দুক দিয়ে, হুমকি দিয়ে, ভয় দেখিয়ে আর কাজ হবে না। অনেক অপরাধ করেছেন, জুডেশিয়াল কিলিং (বিচারিক হত্যাকাণ্ড) করেছেন, ১ লাখ ২৪ হাজার মামলা দিয়ে ৪০ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করেছেন। কেউ ক্ষমতায় চীরস্থায়ী থাকতে পারে নি। নমরুদ, ফেরাউন এমনকি এরশাদ স্বৈরাচারী কায়দায় ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে ব্যর্থ হয়েছেন। আপনিও (শেখ হাসিনা) পারবেন না। ক্ষমতার এই মসনদ কারো জন্য পার্মান্টেট (স্থায়ী) নয়, মানে মানে সরে পড়েন।

ফখরুল বলেন, আগের বার তারা নির্বাচনের আগে জনগণকে বলেছিল নির্বচিত হলে ঘরে ঘরে চাকরি দেবে, ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে। চাকরি তো কেউ পায়নি, বরং ঘরে ঘরে বেকার বেড়েছে, চালের কেজি ৯০ টাকা হয়েছে। এই সরকার যতদিন থাকবে মানুষের দুর্ভোগ তত বাড়বে। তাই ভালো ভালোই পদত্যাগ করে মানুষকে মুক্তি দিন, না হয় জনগণ তাদের হারানো ভোটাধিকার আদায় করে নিতে বাধ্য হবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিদেশিদের সমর্থনের ওপর বাংলাদেশের রাজনীতি নির্ভর করে না, তবে বিদেশিদের সমর্থনে সাধারণ মানুষ খুশি হয়। বিদেশিরাও একটি অংশগ্রহণমূলক নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, বিদেশি মন্ত্রীরা এখানে আসছেন। তারা বলছেন, তারা বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চান। বাংলাদেশের মানবাধিকার দেখতে চান, বাংলাদেশের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দেখতে চান। কোনো একটি দেশের মন্ত্রী এসে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে, প্রধানমন্ত্রীর অফিসে যখন সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা তখন বলে, তাতে আত্মহত্যা করা দরকার।

এছাড়া, বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মীর নাসির উদ্দিন, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল, উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, বান্দরবান বিএনপির নেতা ম্যামাচিং।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post বিএনপির মিথ্যাচারের ফাঁপা বেলুন চুপসে যাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
Next post নিবন্ধন পেল না গণঅধিকার পরিষদ ও নাগরিক ঐক্যসহ ১০ দল
Close