Read Time:2 Minute, 52 Second

পুলিশের গুলিতে এক কিশোর নিহত হওয়ার ঘটনায় গোটা ফ্রান্স জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে এক হাজার ৩০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ফ্রান্সের রাজপথ এখনও উত্তপ্ত। বিপণিবিতানগুলোতে লুটপাটের খবরও পাওয়া গেছে। পুলিশের হাতে ওই কিশোরের মৃত্যুর চতুর্থ রাত অর্থাৎ শুক্রবার রাতে এক হাজার ৩৫০টিরও বেশি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, রাজপথে দুই হাজার ৬৫০টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ বিশেষ ইউনিটসহ শুক্রবার রাতে প্রায় ৪৫ হাজার কর্মকর্তাকে মোতায়েন করেছে ফ্রান্স। তারপরেও ৩১টি থানায় হামলা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ।

ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানা শনিবার সকালে জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে এক হাজার ৩১১ জনকে আটক করা হয়েছে। উত্তেজনা শুরু হওয়ার পর এটিই সবচেয়ে বড় ধরপাকড়।

গণপরিবহণগুলোকে বিক্ষোভকারীরা টার্গেট করছে বলে দেশজুড়ে সব পাবলিক বাস ও ট্রামকে রাতে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দারমানা। বিক্ষোভকে উসকে দেওয়ার কাজে যাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে ব্যবহার করা না হয়, সেই আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। তার মতে, এসব ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ‘খুবই সহযোগিতা করে।’

যে কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় এই দাঙ্গার সূত্র, শনিবার তার দাফনের কথা রয়েছে। মঙ্গলবার থেকে ফ্রান্সে এ বিক্ষোভের শুরু।ওই দিন প্যারিসের শহরতলির নঁতের একটি তল্লাশি চৌকিতে নাহেল নামের এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে গোটা ফ্রান্সে। যা এখন সহিংসতায় রূপ নিয়েছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post মিলল অনুমতি, উড়তে পারবে যুক্তরাষ্ট্রের উড়ন্ত গাড়ি
Next post কর্মজীবীদের জন্য সবচেয়ে বাজে দেশের তালিকায় বাংলাদেশ
Close