Read Time:3 Minute, 16 Second

ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় মো. মোশাররফ হোসেন (২৬) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার রামগড় পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভৃগুরামপাড়া স্কুলটিলা এলাকায়। তিনি ঐ গ্রামের আবু তৈয়বের ছেলে।

বুধবার (২৮ জুন) স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে ওমানের সালালাহ বিমান বন্দর সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (৩০ জুন) সন্ধ্যায় রামগড় পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী আবুল বশর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

পরিবারের বরাত দিয়ে পৌর কাউন্সিলর জানান, যাত্রী আনার জন্য সালালাহ বিমান বন্দরে যাওয়ার পথে ওয়াটিনাইট নামক স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তার প্রাইভেট কারটি রাস্তার বাইরে গিয়ে স্ট্রীট লাইট পোস্টের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে তিনি মারা যান। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ওই সময় বৃষ্টি হচ্ছিল।

পৌর কাউন্সিলর আরও বলেন, নিহত মোশাররফ ৭ বছর আগে ওমানে যান। সেখানে একটি কোম্পানিতে বেলা ১২টা পর্যন্ত ডিউটি করার পর বাকি সময় নিজস্ব প্রাইভেটকারে যাত্রী পরিবহন করতেন। ওমানে তার মেঝ ভাইও থাকেন। তিনি বলেন, ২-৩ মাস পর সে দেশে এসে বিয়ে করার কথা ছিল। সে জন্য তার বাবা-মা পাত্রী দেখাসহ প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। কৃষক বাবার কস্টার্জিত টাকায় প্রথমে মেঝ ছেলেকে ওমানে পাঠানোর পর ওই মেঝ ভাই পরে মোশাররফকেও ওই দেশে নিয়ে যায়। দুই ছেলের উপার্জনে দরিদ্র পরিবারটি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছিল।

শুক্রবার বিকালে নিহত মোশাররফের বাড়িতে গিয়ে শোকের মাতম দেখেছেন বলে জানান কাউন্সিলর আবুল বশর। তিনি বলেন, ঈদের আগের দিন রাতে ছেলের মৃত্যুর খবরে তাদের ঈদ কেটেছে শোক- আর্তনাদে। এলাকার লোকজন সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তরুণ টগবগে ছেলে এমন মৃত্যুর শোক কিছুতেই সইতে পারছে না পরিবারের সদস্যরা।

পৌরসভার কাউন্সিলর কাজী আবুল বশর জানান, নিহত মোশাররফের লাশ দেশে আনার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ওমান দূতাবাসে আবেদন করা হয়েছে। ৬-৭ দিন পর লাশ দেশে পৌঁছবে বলে তাদের জানানো হয়েছে।

 

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ইউরোপ প্রবাসী ৩২১ বাংলাদেশির পাল্টা চিঠি
Next post প্রেমের টানে মালয়েশিয়ার মেয়ে নোয়াখালীতে
Close