Read Time:4 Minute, 7 Second

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের কাজই ভোট চুরি করা। গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারে নাই। আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে। আমরা সন্ত্রাস পছন্দ করি না। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। আমাদেরকে জেগে উঠতে হবে। এ সরকারকে হঠাতে হবে।

শুক্রবার সিরাজগঞ্জে ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া’র মুক্তি, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মামলার ফরমায়েশি রায়ের প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠে এই গণ-জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদের সভাপতিত্বে গণ-জনসমাবেশে প্রধান অতিথি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন, আমার-আপনার প্রিয় নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণভাবে সাজা দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশটা একা এ সরকারের নয়। এ দেশ জনগণের। জনগণ এবার জেগে উঠেছে।

মির্জা ফখরুলের বক্তব্য শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় কিছু লোককে এদিক-সেদিক ছুটাছুটি করতে দেখে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনাদেরকে ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে।

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, আওয়ামী লীগ বিগত দিনে বিএনপির ৪০ হাজার নেতা-কর্মীকে গুম ও খুন করেছে। র‌্যাবের যে সব অফিসার গুমের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশন দিয়েছে।

তিনি বলেন, আগামীতে তত্ত্বাবধাক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে এ সরকারকে বাধ্য করা হবে। তার আগে বেগম খালেদা জিয়াসহ সব নেতার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আমান উল্লাহ আমানসহ যে সব নেতা কারাগারে রয়েছেন তাদের মুক্তি দিতে হবে।

তিনি উপস্থিতজনতার উদ্দেশে বলেন, আমরা সন্ত্রাস পছন্দ করি না। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। ভোট চোর ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে হবে।

গণ-সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, টুকু ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাজার রায় আমরা মানি না। মিথ্যা মামলা দিয়ে এ সরকার বাংলাদেশকে কারাগার বানিয়েছে। যারা অত্যাচার করেছে, বিএনপি নেতা-কর্মীদের রক্ত ঝরিয়েছে, তাদেরকে পালাতে দেয়া যাবে না। তারা যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য পাহারা দিতে হবে। জনতার আদালতে তাদের বিচার হবে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post কারো নিষেধাজ্ঞায় নির্বাচন থেমে থাকবে না: কাদের
Next post ইউক্রেনকে ২০ কোটি ডলারের মানবিক সহায়তার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
Close