Read Time:4 Minute, 22 Second

বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র আরো উন্নত পরিবেশ চায় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

রবিবার ইউনাইটেড স্টেট ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ব্রেনডেন লিঞ্চের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠককালে তারা এ কথা জানান। এ সময় বাণিজ্য, কৃষি, শ্রম ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যসচিব বলেন, বৈঠকে আমরা তাদের বলেছি, বিনিয়োগের পরিবেশটা উন্নত করার বিষয়টি একটি চলমান প্রক্রিয়া, আমরা চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই অনেকক্ষেত্রে প্রতি বছর যে লাইসেন্স নবায়ন করতে হতো এগুলো আমরা সহজীকরণ করেছি। পাঁচ বছর পর্যন্ত নবায়ন করা যায়। আমরা ব্যবসার পরিবেশ এবং প্রক্রিয়া সহজীকরণে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি। তারা বলছে এটি হলে তাদের বিনিয়োগ বাড়বে।

বাণিজ্যসচিব বলেন, তারা অভিযোগ করেছে কিছু কিছু আইপিআর (ইন্টেলেকচ্যুয়াল প্রপার্টি রাইটস) ভায়োলেশন করে কিছু প্রোডাক্ট এক্সপোর্ট হয়েছে। আমরা জোরালোভাবে বলেছি, যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের কোনো পণ্য রপ্তানির সুযোগই নেই। কারণ, রপ্তানির সময় পণ্য নিয়ে মানসম্পন্ন পরীক্ষা হয়, নিরীক্ষা হয়। বাণিজ্যসচিব বলেন, অন্য কোনো দেশের কোনো কোম্পানি যদি তাদের ওয়েবসাইটে কোনো পণ্যকে বাংলাদেশি পণ্য হিসেবে দেখায়, সেই দায়িত্ব তো আমরা নিতে পারি না। তারপরও যদি তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) কাছে কোনো অভিযোগ থাকে। তাহলে সেটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানালে আমরা ব্যবস্থা নেবে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যান্ড পণ্যের একটি সংগঠন ও ফ্রান্সের একটি শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নকল পণ্য রপ্তানির অভিযোগ তুলে গত ৩০ ও ২৬ জানুয়ারিতে ইউএসটিআরের কাছে আলাদা দুটি আবেদন জমা দেয়। তাদের অভিযোগ ছিল, বাংলাদেশের কিছু কারখানা বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাক ও জুতা নকল করে থাকে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শুধু বাংলাদেশই নয়; ভিয়েতনাম, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ (ইউএই) আরো কয়েকটি দেশের বিরুদ্ধেও নকল পণ্য উত্পাদন ও রপ্তানির অভিযোগে একই ধরনের পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি চিঠি পাঠিয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মতামত জানতে চায়। বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও উইং যথাসময়েই ইউএসটিআরকে প্রাথমিক মতামত জানায়। এতে প্রমাণ ছাড়া অভিযোগকে ‘অন্যায্য ও ক্ষতিকর’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং নকল পণ্য উত্পাদন প্রতিরোধে বাংলাদেশে অন্তত ১০টি আইন রয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছে।

বৈঠকে গত ৬ ও ৭ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনে যে টিফফা বৈঠক হয়েছিল সে বিষয়গুলোর ফলোআপ আলোচনা হয়েছে বলেও বাণিজ্য সচিব জানান।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post নির্বাচন সামনে রেখে মার্কিন নাগরিকদের সতর্কভাবে চলাফেরার পরামর্শ
Next post ইউরোপীয় : প্রতিনিধি দল দ্রুতই গণহত্যার স্বীকৃতি পাবে বাংলাদেশ
Close