আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কূটনীতিকদের আন্তর্জাতিক নিয়মানুসারে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপরিবর্তিত আছে। তাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার কোনো শিথিলতা দেখাবে না।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে তিনি বিএনপি নেতাদের অসার, অর্বাচীন ও গণচেতনাবিচ্ছিন্ন বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
তিনি বলেন, বিএনপির আমলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হওয়া বাংলাদেশে আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বিএনপির শাসনামলে তাদের সৃষ্ট জঙ্গিবাদী শক্তির হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর কূটনীতিকদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এটা কোনো স্থায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। কূটনীতিকদের আন্তর্জাতিক নিয়মানুসারে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, বিদেশি যেসব দূতাবাস এবং রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশে আছেন তাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার কোনো প্রকার শিথিলতা দেখাবে না।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যগতভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এদেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে যা যা করার তা একমাত্র আওয়ামী লীগই করেছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান অসাংবিধানিক উপায়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছিল। সামরিক স্বৈরাচারের বুটের তলায় পিষ্ট হয়েছিল এদেশের মানুষের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। কারফিউ বলবৎ রেখে দেশে নির্বাচনের নামে প্রহসন সৃষ্টি করে জনগণের সঙ্গে তামাশা করেছিল। ভোট ডাকাতির প্রতিভূ শক্তি বিএনপির মুখে তাই গণতন্ত্রের কথা মানায় না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন হালে পানি না পাওয়ায় তাদের নেতারা প্রতিদিন চিরাচরিত একঘেয়ে বক্তব্য রেখেই যাচ্ছে। তারা শুধু সমালোচনার নামে সরকারের সমালোচনা করে। জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে শেখ হাসিনার গৃহীত উন্নয়ন নীতির কারণে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার বিপরীতে বিএনপির হাতিয়ার হলো ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও উস্কানিমূলক বক্তব্য। বিএনপির লক্ষ্য যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল, বিপরীতে আওয়ামী লীগের পথচলার শক্তি হলো শুধু জনগণ। যে আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই, যে আন্দোলন শুধুমাত্র ক্ষমতার মোহ থেকে পরিচালিত হয়, সে আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানের কথা হাস্যকর।
More Stories
আনন্দবাজারের রিপোর্ট: নব্য আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি, নেতৃত্বে থাকবেন না শেখ হাসিনা?
নতুন কৌশল। আওয়ামী লীগ থাকবে, নেতৃত্বে শেখ হাসিনা থাকবেন না। তার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নেতারাও বাদ যাবেন। আওয়ামী লীগের পরিচিত...
যে যাই বলুক নির্বাচন জুন অতিক্রম করবে না: আইন উপদেষ্টা
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে যত...
প্রধান উপদেষ্টাকে দেওয়া বিএনপির চিঠিতে কী আছে
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি চিঠি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়...
টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. ইউনূস
২০২৫ সালে টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ জন শীর্ষ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ...
কবি রফিক আজাদের বাড়ি ভেঙে ফেলার ঘটনায় যা বলছে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ
‘ভাত দে হারামজাদা/তা না হলে মানচিত্র খাবো’- জনপ্রিয় এই পঙক্তির স্রষ্টা, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রয়াত কবি ও বীরমুক্তিযোদ্ধা রফিক আজাদের স্মৃতিবিজড়িত...
লন্ডনে তারেক রহমানের বাসায় গিয়েছিলেন জামায়াত আমির!
জামায়াতে ইসলামী নেতাদের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডনে সাক্ষাৎ হয়েছে। তাদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে তা...