প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে, সেসব দেশ থেকে কোনোরকম কেনাকাটা করবে না বাংলাদেশ। অর্থ মন্ত্রণালয়কে তিনি এই বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকার, ডলার সংকট এবং আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ঘোষণা নিয়েও তিনি কথা বলেছেন।
সোমবার (১৫ মে) গণভবনে একটি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এসব মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য সফর করেছেন। সেই সফরের বিস্তারিত তুলে ধরতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল।
গত ২৫ এপ্রিলে জাপানের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ৯ মে দেশে ফিরে আসেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিভিন্ন দেশের সাথে চুক্তি ও আলোচনার বর্ণনা তুলে ধরেন।
কিন্তু সংবাদ সম্মেলনের পর প্রশ্নোত্তর পর্বে উঠে আসে নির্বাচন, সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় এবং রাজনীতির নানা প্রসঙ্গ।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশ্নোত্তর পর্বে উঠে আসে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ।
এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের কী কারণে স্যাংশন দিলো? যাদের দিয়ে আমরা সন্ত্রাস দূর করলাম, জঙ্গি দূর করলাম, তাদের ওপরে? হোলি আর্টিজানে যারা হামলা করেছিল, তাদের দমন করে মানুষ জীবিত উদ্ধার করতে কিন্তু ২৪ ঘণ্টাও লাগেনি। এরপরেও আরো কোনো ঘটনা কেউ ঘটাতে পারেনি। এরপরেও স্যাংশনটা কিসের জন্য?’
বাংলাদেশের সামরিক ও পুলিশের কর্মকর্তাসহ সাতজনের ওপর ২০২১ সালের ডিসেম্বরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ।
এরপর ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে সরকার থেকে উদ্যোগের কথা বলা হলেও এখনো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়নি।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি এই জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনামন্ত্রীকে বলে দিয়েছি, আমাদের কেনাকাটা – বিদেশ থেকে জিনিস ক্রয়ের ক্ষেত্রে একটা ক্লজ (শর্ত) থাকবে, যারা আমাদের ওপর স্যাংশন দেবে, তাদের কাছ থেকে কোনো জিনিস আমরা কিনবো না। তাতে ভয়ের কি আছে? আমরা তো কারো ওপর নির্ভরশীল না। আমাদের যা দরকার, আমরা নিজেরাই তো উৎপাদন করতে পারি।‘
‘কথা নাই বার্তা নাই, স্যাংশনের ভয় দেখাবে, আর আমরা ভয়ে মুখ বুঝে থাকবো কেন? আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, যারা আমাদের সপ্তম নৌবহরের ভয় দেখিয়েছিল, সেটাও পার করে বিজয় অর্জন করেছি, এই কথা ভুললে চলবে না। দরকার হলে এক বেলা খেয়ে থাকবো, তাতেও অসুবিধা নেই,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
‘আমাদের ওপর যারা স্যাংশন দেবে, তাদের কাছ থেকে আমরা কিছু কিনবো না, পরিষ্কার কথা। এর মধ্যেই আমি দুটি অ্যাকশন নিয়েছি আগেই।’
তবে সেই অ্যাকশনের বিস্তারিত জানাননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
More Stories
দেশে এতোদিন বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ ছিল না: প্রধান উপদেষ্টা
বিদেশি বিনিয়োগের জন্য দেশে আগে কখনো এত অনুকূল পরিবেশ ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।...
নাসার সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি, মহাকাশ গবেষণায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা
বাংলাদেশ এখন ‘আর্টেমিস অ্যাকর্ডস’র ৫৪তম স্বাক্ষরকারী দেশ, যা যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ ও অসামরিক মহাকাশ অনুসন্ধানকে উৎসাহিত...
নববর্ষের র্যালির জন্য তৈরি হচ্ছে ‘স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি’
নববর্ষের র্যালিতে প্রদর্শনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে তৈরি হচ্ছে পতিত স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি। বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এই প্রতিকৃতি।...
প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন পিটার হাস
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানির মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি অ্যাকসিলারেট এনার্জির স্ট্রাটেজিক উপদেষ্টা পিটার হাস আজ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের...
বাংলাদেশে আরও এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে এনডিবি
পাঁচটি বিকাশমান অর্থনীতির জোট ব্রিকসের উদ্যোগে গঠিত নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। সংস্থাটি আরও...
রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদন: ড. ইউনূসকে জড়িয়ে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে নিয়মিত হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর ঘটনা সে...