Read Time:3 Minute, 6 Second

তুরস্কে এরদোগানের দুই দশকের শাসনের অবসানের সময় যেন ঘনিয়ে এসেছে। যেন অস্তগামী এরদোগানের শাসনকাল।

আধুনিক তুরস্কের একশো বছরের ইতিহাসে রোববারের নির্বাচন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচনের কারণে নেতার পরিবর্তন হলে, তুর্কি নীতিতেও আসবে ব্যাপক পরিবর্তন।

রোববারের ভোটের মাধ্যমে শুধু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হবে না, ন্যাটোর সদস্য সাড়ে আট কোটি মানুষের এ দেশটি আগামীতে কীভাবে চলবে তাও নির্ধারিত হবে।
নির্বাচন পূর্ববর্তী জরিপে দেখা গেছে, এরদোগানের প্রতিদ্বন্দ্বী কিরিচদারোগ্লু এগিয়ে। তবে কেউ-ই যদি ৫০ শতাংশ ভোট না পান তবে দ্বিতীয় মেয়াদে গড়াবে ভোটগ্রহণ।

গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে আঘাত হানে ভয়াবহ ভূমিকম্প। এতে মারা যায় প্রায় ৫০ হাজার তুর্কি। ভূমিকম্পে এতো ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার অন্যতম কারণ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে দুর্নীতি। কেউ কেউ বলছেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি এলাকায় লোকজন এরদোগের বিপক্ষে ভোট দেবেন।

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এক এলাকার বাসিন্দা ২৬ বছর বয়সি নুরি। তিনি বলেন, দেশের জন্য একটি পরিবর্তন দরকার। নির্বাচনের পর দেশে ডলার সংকট তৈরি হবে। তাই আমরা পরিবর্তন চাই।

তবে ৫১ বছর বয়সি এক ব্যক্তি দেন ভিন্ন মত। তিনি জানান, আমরা এরদোগান ও একে পার্টির পক্ষে ভোট দিয়েছি। তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয়, তবে আমাদের বিশ্বাস এরদোগান এটি দ্রুত ঠিক করতে সক্ষম হবেন।সম্প্রতি ব্যাপকহারে কমেছে তুর্কি মুদ্রা লিরার দর। মুদ্রাস্ফীতির করালগ্রাসে বিধ্বস্ত প্রায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে দেশটির অর্থনীতিতে। এরদোগান মসনদে থাকা অবস্থায় এমন হওয়ার কারণে হতাশা প্রকাশ করেছেন তার অনেক সমর্থক।

এদিকে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি নিয়ে হাজির হয়েছে ৭৪ বছর বয়সি প্রতিদ্বন্দ্বী কিরিচদারোগ্লু। তুরস্কের অর্থনীতিকে চাঙা করার আশ্বাস তার। সেইসঙ্গে তুরস্কে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করাসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা পেশ করেছেন তিনি।
সূত্র: আরব নিউজ

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post জেলেনস্কিকে কাছে পেয়ে যা বললেন পোপ ফ্রান্সিস
Next post বিশ্বের সেরা পাসপোর্ট আমিরাতের
Close