সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে রাজসিক বিদায় জানিয়েছে বঙ্গভবন। বিদায় বেলায় আবদুল হামিদকে প্রেসিডেন্টের গার্ড রেজিমেন্টের একটি সজ্জিত দল বঙ্গভবনের ক্রেডেনসিয়াল মাঠে গার্ড অব অনার দিয়েছে।
সোমবার (এপ্রিল) বঙ্গভবন থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায়ের পর রাজধানীর নিকুঞ্জে নিজ বাসা ‘রাষ্ট্রপতি লজে’ ওঠেন তিনি। নিকুঞ্জের বাসার সামনে গাড়ি থেকে নেমেই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন আবদুল হামিদ।
সদ্য সাবেক এই রাষ্ট্রপ্রধান জানান অবসরের সময়টুকু তিন জায়গায় কাটাতে চান। তবে সবচেয়ে বেশি সময় কাটাবেন হাওরে।
তিনি প্রথমেই সাংবাদিকদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমার যেটুকু সফলতা এজন্য আমি সমগ্র দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার ওপর দেশবাসীর দোয়া ছিল। আমার জেলা, আমার এলাকার মানুষেরও দোয়া ছিল। বিশেষ করে আপনাদের প্রতিও আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। আমি বিভিন্ন সময়ে যাই বলেছি, সেটাকে টুইসট (বিকৃত) না করে সত্যিকারভাবে প্রকাশ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আজকে আমি এটাও বলতে চাই, প্রধানমন্ত্রী আমাকে যেভাবে মোটামুটি ফ্রি-লি কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন বা আমার কাজের ব্যাপারে কোনোরূপ বাধা সৃষ্টি হয়নি, এজন্য আমি তার প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি রাষ্ট্রপতি ছিলাম, তবে আমি নিজেকে সবসময়ই দেশের সাধারণ মানুষ বলেই মনে করি। আমি সারাজীবন রাজনীতি করেছি, সেটা এদেশের মানুষের কল্যাণে এবং আমি চেষ্টা করেছি যেন এদেশে সুষ্ঠু রাজনীতি প্রবর্তন করা যায়। সেটাতে সফল হয়েছি, একথা বলতে পারব না। তবে আমার চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। আমি আশা করি অদূর ভবিষ্যতে এদেশে সুষ্ঠু স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকবে এবং সুষ্ঠু রাজনীতি অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমে এদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং আরও এগিয়ে যাবে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নে আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমি দেশের মানুষের কল্যাণ চাই। জনগণ ভালো থাকুক, সুখে থাকুক এবং সর্বদিক থেকে তারা ভালো থাকুক।’
কোন জিনিসগুলো আপনি মিস করবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আজকে কেবল বের হলাম। ভবিষ্যতে আপনারা সময় নিয়ে এলে বিস্তারিতভাবে কথা বলা যাবে। তবে অবসরকালীন সময়ে আমি সবচেয়ে বেশি হাওর এলাকায় থাকার ইচ্ছা। এরপর ঢাকাতে এবং কিশোরগঞ্জে সময় দেব। অবসরের সময়টুকু আমি তিনটা ভাগে ভাগ করতে চাই। একটা হলো ঢাকা, দ্বিতীয়টা কিশোরগঞ্জ এবং হাওর এলাকায়। আমি চেষ্টা করব হাওর এলাকায় বেশি থাকার। আমার গ্রহণযোগ্যতার পেছনে মিডিয়ার অবদান কোনোদিন অস্বীকার করতে পারব না। এজন্য আমি আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’
আবদুল হামিদ বলেন, ‘দেশের মানুষ আমাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছেন। সেই সম্মান তিনি অটুট রাখতে চাই। অবসর জীবনে বই পড়ে ও লেখালেখি করে কাটাতে চাই। তবে নতুন করে আর কোনো রাজনীতিতে জড়াব না।’
More Stories
২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু বইমেলা
আগামী বছরের অমর একুশে বইমেলার সময়সূচি নিয়ে জটিলতার অবসান হয়েছে শেষ পর্যন্ত। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতেই হচ্ছে বইমেলা। তবে সাধারণত ১...
আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র গ্রেপ্তার, না হলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের যারা সন্ত্রাসী, তাদের বিরুদ্ধে মামলা না থাকলেও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা...
হাদির অবস্থা সংকটজনক
সিঙ্গাপুর জেনারেল হসপিটালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ জুলাইযোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা এখনও সংকটজনক ও অপরিবর্তিত রয়েছে। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানের প্রতিবেদনে...
নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেশীদের উপদেশ চাই না: ভারতকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশে নির্বাচন কেমন হবে—এ বিষয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর কোনো উপদেশের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ভারতকে...
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান প্রেসসচিবের
আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে কি না—এ প্রশ্নে কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।...
‘সেভেন সিস্টার্স’ ভারত থেকে আলাদা করে দেবো: হাসনাত
ভারত বাংলাদেশকে ফিলিস্তিন বানাতে চায় মন্তব্য করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘ভারতকে স্পষ্ট ভাষায়...
