Read Time:2 Minute, 22 Second

চলতি বছরে মার্চ মাসে যা ৩৫ দশমিক ৩৭ শতাংশে উপনীত হয়েছে। প্রায় পাঁচ দশকের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ।

সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ এর শর্তপূরণ করতে তড়িঘড়ি উদ্যোগ নেওয়ার ফলে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশ্লেষকেরা। শনিবার (১ এপ্রিল) প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুযায়ী এক মাস থেকে অন্য মাসে মুদ্রাস্ফীতি ছিল তিন দশমিক ৭২ শতাংশ, যেখানে গত বছরের গড় মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ২৭ দশমিক ২৬ শতাংশ। খবর ব্লুমবার্গের।

মার্চের মুদ্রাস্ফীতির হার ফেব্রুয়ারিকে (৩১ দশমিক পাঁচ শতাংশ) ছাড়িয়ে গেছে। ব্যুরো জানিয়েছে, বছরে খাদ্য, পানীয় ও পরিবহনের দাম বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত।

বছরের পর বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অব্যবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা অর্থনীতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী শক্তি সংকট ও বিধ্বংসী বন্যার কারণে ২০২২ সালে দেশের এক তৃতীয়াংশ জলমগ্ন হয়। পরিস্থিতি সেই সময় থেকে আরো খারাপ হয়েছে।

বর্তমানে দেশটির যা ঋণ, এর ফলে তাদের কোটি কোটি ডলার অর্থায়নের প্রয়োজন। এদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে ও পাকিস্তানি রুপির মান নিম্নগামী হয়েছে। দরিদ্র পাকিস্তানিরা এই অর্থনৈতিক অস্থিরতার শিকার। মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব কমাতে সরকার-সমর্থিত কর্মসূচির আওতায় সারা দেশে আটা-ময়দা বিতরণের কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।

বিদেশি ঋণের বোঝা, মুদ্রাস্ফীতি ও খাদ্যসংকটের ভারে ঝুঁকে পড়া দেশটিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও মারাত্মক হারে বেড়েছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post বাংলাদেশের অগ্রগতিকে স্বীকৃতি দিতে মার্কিন কংগ্রেসে বিল উত্থাপন
Next post যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডো, প্রাণহানি বেড়ে ১০
Close