Read Time:3 Minute, 25 Second

সুলতান’স ডাইনের গুলশান শাখায় খাসি বাদে অন্য প্রাণির মাংসের ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সোমবার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৯ মার্চ সুলতান’স ডাইনের গুলশান শাখা অভিযান চালানো হয়। সেখানে মাংস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ও সুলতান’স ডাইনের বক্তব্যে ভিন্নতা পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ মার্চ সুলতান’স ডাইনকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

আজ সোমবার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে জিএন, এজিএম এবং শাখা ম্যানেজার ভোক্তা অধিদপ্তরে উপস্থিত হয়ে মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন। তাদের বক্তব্য পর্যালোচনা করে নিম্নরূপ তথ্য পাওয়া যায়।

১। কাপ্তান বাজারের ‘মা-বাবার দোয়া গোস্ত বিতান’ থেকে সুলতান’স ডাইন খাসির মাংস সংগ্রহ করে থাকে।

২। কাপ্তান বাজারে খাসি জবাই করার সময় সুলতান’স ডাইনের প্রতিনিধিরা মাঝে মধ্যে উপস্থিত থাকেন।

৩। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নিজ দায়িত্বে সুলতান’স ডাইনে মাংস পৌঁছে দেয়।

৪। ৯ মার্চ সুলতান’স ডাইনের ম্যানেজার মৌখিকভাবে ১৫০ কেজি খাসির মাংস সরবরাহের কথা জানান। কিন্তু ‘মা-বাবার দোয়া গোস্ত বিতান ১২৫ কেজি মাংস সরবরাহ করে।

৫। সন্দেহযুক্ত চিকন হাড়ের ব্যাপারে জানানো হয়, ৭ থেকে ৯ কেজি ওজনের খাসির মাংস তারা ব্যবহার করেন। এ কারণে খাসির হাড় চিকন হয়।

৬। যে মোবাইল নম্বর থেকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল তা বন্ধ পাওয়া যায়।

খাসি বাদে অন্য প্রাণির মাংসের ব্যবহার প্রমাণিত না হওয়ায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সুলতান’স ডাইনকে অন্য প্রাণির মাংস ব্যবহারের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া যেতে পারে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুলতান’স ডাইনের কাচ্চির মাংস নিয়ে প্রশ্ন তুলেন এক ভোক্তা। বিষয়টি নিয়ে এরপর থেকে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়। অনেকে দাবি করেন, কাচ্চিতে খাসির মাংসের নামে অন্য প্রাণীর মাংস খাওয়ানো হচ্ছে। তবে সুলতান’স ডাইন বলছে, এসব অভিযোগ সত্য নয়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ‘৪০ জনের নাম খয়রাত করে ড. ইউনূসকে কেন বিজ্ঞাপন দিতে হলো’
Next post বিপর্যয়ে একাধিক ব্যাংক, যা বললেন বাইডেন
Close