সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে বেশির ভাগ শ্রমিক রয়েছেন নানা সমস্যায়। পাশাপাশি কর্মীদের সমস্যা থেকে উত্তরণে দেশটিতে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাসও কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে সেবা নিতে যাওয়া বেশির ভাগ প্রবাসীর অভিযোগ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারীর কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না। এ নিয়ে তারা দূতাবাসের ফেসবুক পেজে ক্ষোভের কথা বলছেন।

এ দিকে সৌদি আরব প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে যারা এখনো এক্সিট ভিসার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসে আবেদন করেননি তাদের পরবর্তীতে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস। দ্রুত সমস্যা থেকে উত্তরণে রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে বিষয়টি অবহিত করে পাঁচ শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশির নামের তালিকাও প্রকাশ করেছে।

তবে কেউ কেউ তালিকা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, অনেক আগেই তো দূতাবাসে তিনি আবেদন জমা দিয়েছেন। তারপরও কেনো লিস্টে তার নাম রয়েছে।

গত বুধবার বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে প্রবাসীদের নাম, পাসপোর্ট ও ভিসা নাম্বার উল্লেখ করে জানানো হয়, সৌদি আরবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা স্পেশাল এক্সিটের (ইকামা এক্সপায়ার/ইকামার মেয়াদ শেষ) আওতায় দূতাবাসের অনলাইন সিস্টেমে আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে থেকে যাদের মক্তব আমল (রিয়াদ শ্রম অফিস) থেকে এক্সিট ক্লিয়ারেন্স রয়েছে তাদের দ্রুত (ছয় মাস) এক্সিট ভিসার আবেদন করতে হবে। যারা করবে না তাদের ভিসা বাতিল হওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দূতাবাস থেকে আরও বলা হয়েছে, মক্তব আমল (শ্রম অফিস) থেকে যাদের এক্সিট ক্লিয়ারেন্স হয়েছে তারা কফিল পরিবর্তন অথবা নতুবা ইকামা বানাতে পারবে না।

Previous post মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন গ্রেপ্তার
Next post গ্রিসে প্রবাসীদের আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন
Close