Read Time:4 Minute, 22 Second

রপ্তানি আয় দেশে আনার নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত শেষ দিনে ডলারের যে দাম থাকবে সেই দর অনুযায়ী সমপরিমাণ টাকা পাবেন রপ্তানিকারকরা।

কোনো কারণে নির্ধারিত দিনের পর রপ্তানি আয় দেশে এলেও যেদিন আসবে সেদিনের দর রপ্তানিকারক পাবেন না। তিনি নির্ধারিত শেষ দিনের দরই পাবেন। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ওই হিসাবেই রপ্তানিকারকদের ডলারের বিপরীতে নগদ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে। একই সঙ্গে বিষয়টি রপ্তানিকারকদের জানানোর জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রপ্তানি আয় দেশে আসার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে।

সূত্র জানায়, সম্প্রতি ডলারের দাম বাড়ছে। পর্যায়ক্রমে আরও বাড়ানো হবে। এ কারণে রপ্তানিকারকদের একটি অংশ আয় সময়মতো দেশে আসছে না। ডলারের বাড়তি দাম পাওয়ার জন্য তারা রপ্তানি আয় দেরিতে দেশে আনছে। এতে বাজারে ডলারের প্রবাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

রপ্তানিকারকরা যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রপ্তানি আয়ের অর্থ দেশে আনেন সেটি উৎসাহিত করার জন্যই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ পদক্ষেপ নিয়েছে। বিদ্যমান ডলার সংকট নিরসনে এ উদ্যোগে সুফল বয়ে আনবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সার্কুলারে বলা হয়, প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী পণ্য রপ্তানি করার চার মাসের মধ্যে রপ্তানি আয় দেশে আনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর ওই সময়ের মধ্যেই তা নগদায়ন করার নিয়ম। কিন্তু অনেক রপ্তানিকারক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডলার দেশে আনতে পারেন না। দেরিতে আনেন।

বর্তমান নিয়মে তিনি যে সময়ে ডলার দেশে আনেন সেই সময়ের দামই পান। নতুন নিয়মে তা পাওয়া যাবে না। রপ্তানি আয় দেশে আনার সর্বশেষ সময়ে ডলারের যে দাম ছিল সেই দাম পাবেন।

একই সঙ্গে রপ্তানি আয় দেশে আনার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডলার নগদায়ন না করে পরে করলেও যে সময়ের মধ্যে রপ্তানি আয় দেশে আসার কথা ছিল, ওই সময়ের শেষ দিনের ডলারের দাম অনুযায়ী তার আয় নগদায়ন হবে। অর্থাৎ ডলারের দাম হ্রাস-বৃদ্ধি যাই হোক, গ্রাহক নির্দিষ্ট ওই দিনের বিনিময় হার অনুযায়ী তার রপ্তানি আয়ের বিপরীতে টাকা পাবেন।

এতে আরও বলা হয়, প্রতিটি ব্যাংককে রপ্তানি আয় দেশে আসার সর্বশেষ তারিখ ও নগদায়নের তারিখে থাকা ডলারের দাম একটি অনলাইনে লিপিবদ্ধ রাখতে হবে। প্রতি মাস শেষে পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে তা বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে।

এসব তথ্য পাঠানোর বিষয়ে একটি নির্ধারিত ছকও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে রপ্তানির তারিখ, কত দিনের মধ্যে আয় দেশে আসার কথা, কবে এলো এসব তথ্য দিতে হবে।

বর্তমানে রপ্তানি আয়ের বিপরীতে প্রতি ডলারে ১০৪ টাকা করে দেওয়া হয়। ১ মার্চ থেকে এই দর কার্যকর হয়েছে। এর আগে ছিল ১০৩ টাকা।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post দেশে ‘জমিদারি শাসন’ জনগণ হতে দেবে না: ফখরুল
Next post সংবিধান পরিবর্তন করে আপস নয় : কাদের
Close