Read Time:4 Minute, 43 Second

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু হয়েছে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে। সরকার ও সরকারের এজেন্টরা আন্দোলন দমন করতে ও নস্যাৎ করতে বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করবে।

তিনি বলেন, তারা বিভিন্ন রকমের গল্প তৈরি করবে। আমরা এ নিয়ে বেশি মাথা ঘামাচ্ছি না। আমাদের মাথা ঘামানোর বিষয় একটিই- জনগণকে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ করে, আরও সম্পৃক্ত করে এই ভয়াবহ দানবকে সরানো।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকারের পতনের লক্ষ্যে আমরা যে গণআন্দোলন শুরু করেছি, সেই আন্দোলনকে সফলতার দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা গণতন্ত্র মঞ্চ এবং বিএনপি আমাদের আগের বিভিন্ন কর্মসূচি পর্যালোচনা করেছি। এ ছাড়া পরে কী কর্মসূচি নেওয়া যেতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা করেছি।

যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া অন্যান্য দলের সঙ্গেও অতি দ্রুত বৈঠক হবে জানিয়ে ফখরুল বলেন, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি যে কর্মসূচি রয়েছে, সেই কর্মসূচিকে সফল করা এবং পরে কী কর্মসূচি নেব সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

তিনি বলেন, দেশকে সত্যিকার অর্থে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যে আন্দোলন শুরু করেছি, সেই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছি। এছাড়া যারা বন্দি রয়েছেন তাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণকে আমরা আহ্বান জানিয়েছি, এই আন্দোলনে সবাই যেন শরিক হন। গণতন্ত্রকে মুক্ত করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আরও বৃহত্তর ঐক্য সৃষ্টি করে আমরা যেন সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি, সেই বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের ভিত্তির যে কর্মসূচি, তা অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য কাজ করছি। আমরা চারটি কর্মসূচি পালন করেছি। কর্মসূচিকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

তিনি বলেন, ধীরে ধীরে এই কর্মসূচিকে বিজয়ের দিকে নিয়ে যেতে চাই। কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় এ বিষয়ে আমরা নীতিগত এবং কৌশলগত বিষয়ে আলোচনা করেছি।

তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ঐক্যকে আরও দৃঢ় করা। এই ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরাবার জন্য বিভ্রান্ত সৃষ্টি করার জন্য স্বাভাবিকভাবে শত্রুপক্ষ কাজ করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সজাগ থাকা এবং ঢাকা মহানগরের মধ্যে কীভাবে তৎপরতা বাড়ানো যায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা মহানগরে বিএনপি যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, আমরা তাতে সমর্থন জানিয়েছি। এটার মধ্য দিয়ে আমরা সামগ্রিকভাবে সেই পর্যায়ে যাওয়ার চেষ্টা করব, যাতে একটি অভ্যুত্থানের দিকে নিয়ে যেতে পারি। ৪ ফেব্রুয়ারি কর্মসূচির পরবর্তী ধাপে যেন আমরা যেতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ছিলেন দলটির লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বরকত উল্লাহ বুলু ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

অপরদিকে গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটি সদস্য আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকি, নূরুল হক নুর, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম উপস্থিত ছিলেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post মালয়েশিয়ায় ২ লাখ বাংলাদেশির বৈধ হওয়ার সুযোগ
Next post সৌদিতে ভবন থেকে পড়ে বাংলাদেশির মৃত্যু
Close