Read Time:4 Minute, 19 Second

এ পর্যন্ত একটা টাকাও অসৎ উপায়ে উপার্জন করেননি দাবি করে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেছেন, ‘আমার যা উপার্জন তা সবার কাছে স্পষ্ট। আয়কর নথিতে আমার সব উপার্জনের তথ্য স্পষ্ট করে উল্লেখ করা আছে। এর বাইরে একটা টাকাও আমি অসৎ উপায়ে আয় করিনি।’

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) কারওয়ান বাজার ওয়াসা ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমার যে বেতন তা সবার কাছেই ওপেন একটা বিষয়। এখানে লুকোচুরির কিছু নেই। বেতন ছাড়া আমার আয়ের আর কোনো পথ নেই। আমি যা আয় করি তা সৎভাবে উপার্জন করি, একটি টাকাও আমার অবৈধ নয়। এই আয় দিয়ে আমার যেভাবে চলা যায় সেভাবেই আমি চলি। আমার স্ত্রী-সন্তানরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং সেখানে ওয়েল স্টাবলিশ্ড।

তাকসিম এ খান বলেন, আমি দুর্নীতি করেছি এমন অনেক রিপোর্ট এর আগে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু আমি কোনো দুর্নীতি করিনি, তাই সেসব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এখন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যে রিপোর্ট করা হলো সেটাও ভিত্তিহীন। যুক্তরাষ্ট্রে আমার কোনো বাড়ি নেই। সেখানে ১৪টি বাড়ির ব্যাপারে ডাহা মিথ্যা একটা প্রতিবেদন ছাপানো হলো। সেখানে আমার স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান থাকে, তারা দুজনেই ভালো চাকরি করে। তারা সেখানে চমৎকারভাবে প্রতিষ্ঠিত। তাই তাদের কাছে টাকা পাঠানোর কোনো দরকার নেই। আমার টাকারও তাদের কোনো প্রয়োজন নেই। বরং আমার যদি প্রয়োজন হয় তাহলে তারাই আমাকে মাঝে মধ্যে টাকা পাঠায়।

তিনি আরও বলেন, যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে হেয় করার জন্য মিথ্যা প্রতিবেদন করল তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এমন নয় যে আমি এখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছি বরং আমি যুক্তরাষ্ট্র থেকেই ঢাকা ওয়াসায় চাকরি করতে এসেছি। আমি অনেক আগে থেকেই পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। আমি এখানে একটা টাকাও অসৎ উপায়ে উপার্জন করিনি। ফলে টাকা সেখানে (যুক্তরাষ্ট্রে) পাঠানোরও প্রশ্ন আসে না।’

ঢাকায় কোনো সম্পত্তি বা জমি-বাড়ি কেনার দরকার হয়নি জানিয়ে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়ির দিক থেকে অনেক সম্পত্তি, জমি পেয়েছেন। সে কারণে আমার ঢাকায়ও কিছু কেনার দরকার হয়নি। এছাড়া আমার স্ত্রী-সন্তান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং সেখানে ভালো চাকরি করায় তাদের সেখানেও ভালো অবস্থান আছে। আমি যা বেতন পাই সব মিলিয়ে আল্লাহর রহমতে আমাদের ভালোভাবে চলে যাচ্ছে। তাই দুর্নীতি, অসৎ উপায়ে উপার্জনের দরকার হয় না আমার।

উল্লেখ্য, সোমবার ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দাখিল করা দুটি অভিযোগের অনুসন্ধানের অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনকে ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জানাতে বলেছেন আদালত।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ১১ জানুয়ারি সতর্ক পাহারায় থাকবে আওয়ামী লীগ
Next post ক্যালিফোর্নিয়ায় ঝড়-বৃষ্টিতে বিদ্যুৎবিহীন লক্ষাধিক মানুষ
Close