Read Time:4 Minute, 21 Second

বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসে প্রাচীন সভ্যতার দেশ গ্রিসে বাংলাদেশের পতাকার রঙে করা হয়েছে আলোকসজ্জা। বাংলাদেশ ও গ্রিসের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির সমাপ্তি স্মরণ করতে এথেন্সের ঐতিহাসিক ওমোনিয়া স্কোয়ারের পানির ফোয়ারা লাল সবুজ রঙে আলোকসজ্জা করা হয়।

গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে যথাযথ মর্যাদা এবং বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গ্রিসে উদযাপিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। ১৬ ডিসেম্বর সকালে গ্রিসের এথেন্স দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়। দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানমালার পর সন্ধ্যায় গ্রিক সরকারের সহযোগীতায় এথেন্সের ওমোনিয়া চত্ত্বরকে সাজানো হয় বাংলাদেশের পতাকার রঙে। পাখির চোঁখে দেখে মনে হয় এ যেন এক খণ্ড বাংলাদেশ। প্রবাসের বুকে এমন আয়োজন উপভোগ করে উচ্ছ্বাসিত বাংলাদেশিরা। লাল সবুজের পতাকার আদলে আলোকসজ্জা দেখে আনন্দিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

গ্রিসে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সিংহভাগই বসবাস করেন ওমোনিয়া শহরে। তাই বাংলাদেশের পতাকার রঙে ঐতিহাসিক ওমোনিয়া স্কোয়ারকে আলোকসজ্জা করা হয়। শহরের এই প্রাণ কেদ্রের ফোয়ারার বুকে ফুটে উঠে লাল সবুজের পতাকা। যা দেখতে জড়ো হন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। অনেকেই দেশের বিজয় দিবস অনূভব করেন। দূতাবাস ও গ্রিক সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান কমিউনিটি নেতারা। ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭ টা থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত এ আলোকসজ্জা প্রদর্শন করা হয়।
এর আগে ১৬ ডিসেম্বর সকালে গ্রিসের এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়। এ সময় গ্রিসে বসবাসকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী এবং আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোররা এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত ও গীতা থেকে পাঠের মধ্য দিয়ে দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাৎবরণকারী সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেহ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ই আগস্টের শহিদসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর বিশেষ আলোচনা পর্বে অংশ নেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, আঞ্চলিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post মালিতে শান্তিরক্ষা মিশনে মহান বিজয় দিবস পালিত
Next post লস এঞ্জেলেস কনস্যুলেটে বিজয় দিবস উদযাপন
Close