ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ সরকার কূটনীতিকদেরও চাপে রাখতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বৃহস্পতিবার গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ অভিযোগ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এটা গভীর উদ্বেগের বিষয়। একজন কূটনীতিক একটি সংগঠনের অনুষ্ঠানে একটি জায়গায় গেছেন, সেখানে আরেকটি সংগঠনের যাওয়া-ই তো আইনবিরোধী।’
তিনি বলেন, ‘এর আগে সরকারের মদদে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের নৈশভোজে আক্রমণ করেছে, ভাঙচুর করেছে। গুলশানের একটি হোটেলে কূটনীতিকদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি একটি মানবাধিকার অনুষ্ঠান করেছিল। এই একই লোক (মায়ের কান্না) হোটেলের বাইরে সরকারের মদদে অনুষ্ঠান বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিল। এটা তো আওয়ামী লীগের চরিত্রে পরিণত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একদিকে যেমন বাংলাদেশের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, এখন দেখা যাচ্ছে কূটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এই দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই ভালো, সুম্পর্ক রয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য আছে, তাদের সঙ্গে বহুবিদ সম্পর্ক রয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মানুষের নিরাপত্তাহীনতা, বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তাহীনতায় দেশের বাইরে বাংলাদেশের কী প্রতিফলন ঘটছে?’
বিএনপির কূটনীতিক উইংয়ের প্রধান আমির খসরু বলেন, ‘সরকারকে না বলে কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়া যাবে না এটা কোথায় আছে? দুই দিন ধরে সেখানে পুলিশ ঘোরাঘুরি করছে, অ্যাম্বাসেডরের সঙ্গে তো পুলিশ আছে, সরকার তো অবগত আছে। সরকারকে বললে নিরাপত্তা পাবেন, না বললে নিরাপত্তা পাবেন না-এটা কী একটা দেশের নিরাপত্তার চরিত্র প্রতিফলিত হচ্ছে না? এর আগে মার্শা বার্নিকাটের গাড়ি বহরে যে হামলা হয়েছে, সেই ঘটনার কোনো শাস্তি হয়নি বলে অভিযোগ করেন আমির খসরু।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘মায়ের কান্না তারা তাদের অনুষ্ঠান করতে পারে। অন্যের অনুষ্ঠান বাধাগ্রস্ত করা আইনবিরোধী। সরকার তো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। তা তো আমরা দেখিনি। এই ধারা চলতে থাকলে দেশে যদি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়, তাহলে সেই দেশের চরিত্র কী। এটা পরিষ্কার যেভাবে সরকারের মদদে, সরকারের সহযোগিতায় ঘটনা ঘটছে-এটা সরকারের মন্ত্রীদের কথাবার্তায় পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের ঘটনাকে তারা পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। তাদের মদদ ব্যতীত এই ধরনের কর্মকাণ্ড হওয়া সম্ভব নয়। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। মার্শা বার্নিকাটের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ীদের কোনো শাস্তি হয়নি, তাতেই সরকারের উদ্দেশ্য বোঝা যায়। তারা চাচ্ছে এ ধরনের একটা ঘটনা ঘটুক।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দেশের মানুষকে যেভাবে ভয়ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে চেপে রাখতে চাচ্ছে, কূটনীতিকদেরও এখন তারা ভয়ভীতি সৃষ্টি করে একটি ভিন্ন পরিবেশ সৃষ্টি করে অবৈধ দখলদার সরকার তাদের অব্যাহতভাবে ক্ষমতায় থাকার প্রক্রিয়া চালু করছে।’
More Stories
এফওএসডব্লিউএএল সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হলেন বঙ্গবন্ধু
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তিনটি বইয়ের জন্য ‘বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার’ প্রদান করেছে ফাউন্ডেশন অব সার্ক রাইটার্স এন্ড লিটারেচার...
খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ল
দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন অসুস্থ খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা...
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের উপদেষ্টা দারা বিল্লাহর সাক্ষাৎ
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মুস্তাইন দারা বিল্লাহ গত ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।...
৭০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন কলেজশিক্ষক
চিরকুমারত্বের অবসান ঘটিয়ে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার জিগিরমোল্লা গ্রামের কলেজশিক্ষক শওকত আলী। ৭০ বছর বয়সে বাগেরহাটের মোংলার ৩৫ বছরের মেয়ে শাহেদা...
ই-ভিসা চালু হচ্ছে, দ্রুততর হবে ভিসা প্রক্রিয়া : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সরকার ই-ভিসা চালু করতে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশে ব্যবসা করতে এবং পর্যটনের জন্য আসা যাত্রীদের সুবিধা দেবে...
পিটার হাসের সঙ্গে আলোচনায় ওবায়দুল কাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার...