Read Time:5 Minute, 10 Second

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিট-২ (রোটেশন-৪) এর ১৪০ জন সদস্য জাতিসংঘ শান্তি পদক পেয়েছেন।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) ব্যানএফপিইউ-২ আয়োজিত মেডেল প্যারেড ও শান্তি পদক প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পদক পরিয়ে দেন মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের পুলিশ প্রধান জেনারেল বেটিনা প্যাট্রিসিয়া বুগানি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মিনুস্মা হেড কোয়ার্টার্সের এফপিইউ কো-অর্ডিনেটর হাম্মানজাবু স্যামুয়েল, তিন্বুক্তো রিজিওয়েনর রিজিওনাল কমান্ডার সানাও দিওফ, রিজিওনাল আ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার, ডেপুটি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জাবেদ আসলাম ও মিলিটারি কন্টিনজেন্টের কমান্ডারবৃন্দ। এছাড়াও স্থানীয় প্রশাসন, মেয়র ও জনপ্রতিনিধিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি বেটিনা প্যাট্রিসিয়া বুগানি তার ডেলিগেশন টিমসহ রাজধানী বামাকো থেকে ১২০০ কিলোমিটার দূরে মিনুসমা গুন্দাম ক্যাম্পের হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন।

ব্যানএফপিইউ-২ এর কমান্ডার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিনুর আলম খান প্রধান অতিথিকে হেলিপ্যাডে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ও মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্যারেড গ্রাউন্ডে নিয়ে আসেন।

সেখানে প্যারেড কমান্ডার ব্যানএফপিইউ-২ এর অপারেশন অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আমিনুর রহমানের নেতৃত্বে একটি চৌকস দল সশস্ত্র সালাম ও বর্ণিল প্যারেড প্রদর্শন করে। মনোমুগ্ধকর প্যারেড প্রদর্শনী শেষে বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের ১৪০ জন পুলিশ সদস্যকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদক প্রদান করা হয়।

মালিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মিনুসমা ম্যান্ডেট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পদক দেওয়া হয়।

বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা প্রতিকূল পরিবেশেও অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে স্থানীয় জনগণের ভালোবাসা ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধান অতিথি বেটিনা প্যাট্রিসিয়া বুগানি। তিনি ব্যানএফপিইউ-২ এর অপারেশনাল কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম যেমন: ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প আয়োজন, বিনামূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী বিতরণ, স্কুলে শিক্ষাসামগ্রী ও মসজিদে উপহার সামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি শান্তিরক্ষা মিশনে নারী সদস্যদের অংশগ্রহণ ও তাদের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বেরও প্রশংসা করেন।

ব্যানএফপিইউ-২ (রোটেশন-৪) এর কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ শাহিনুর আলম খান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে অত্যন্ত পেশাদারিত্ব ও সাহসিকতার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন।

তিনি মিনুসমা কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বক্তব্য শেষে তিনি মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক ডিসপ্লে উপভোগ করেন।

পরে বৃক্ষরোপণ ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ব্যানএফপিইউ-২ এর কমান্ডার প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য সব অতিথিকে শুভেচ্ছা স্মারক ও উপহার দেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post হোয়াটসঅ্যাপ : ৪৯ কোটি ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি, আছে বাংলাদেশও
Next post পোল্যান্ড-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন
Close