ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শান্তি মিছিল থেকে ‘ডিসেম্বরেই ফাইনাল খেলা’ হবে বলে বার্তা দেওয়া হয়েছে। লাখো জনতার অংশগ্রহণে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা এ বার্তা দেন।
শনিবার (৫ নভেম্বর) বিএনপি-জামাতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য-সহিংসতা ও আগুন সন্ত্রাসের প্রতিবাদে শান্তিমিছিলের আয়োজনটি করা হয়। প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এ মিছিলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ শীর্ষ নেতাদের কয়েকজন অংশ নেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বরে ঢাকায় বিএনপির মহা সমাবেশের পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে ডিসেম্বরেই ফাইনাল খেলার বার্তা দিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
বিকেলে মধ্য বাড্ডা ইউলুপ সংলগ্ন এলাকায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জোন ভিত্তিক (গুলশান) শান্তিসমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়। প্রতিবাদ মিছিলটি মধ্যবাড্ডা ইউলুপ থেকে শুরু হয়ে নতুন বাজারের মাদানি এভিনিউয়ে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল শুরুর আগেই মেরুল বাড্ডা, রামপুরা, ডিআইটি সড়কে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ছিল না তিল ধারণের জায়গা। মিছিলটি যখন গুলশান নতুন বাজারের মাদানি এভিনিউয়ে শেষ হয় এর শেষ অংশ তখন ছিল মধ্য বাড্ডায়।
শান্তিমিছিলের আগে মধ্য বাড্ডা ইউলুপ সংলগ্ন মহাসড়কে ট্রাকের ওপর অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে সমাবেশ করা হয়। এতে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি বলেন, এখন ছাড় দিচ্ছি, শেখ হাসিনা এখন ছাড় দিচ্ছেন। কিন্তু ডিসেম্বরে ছেড়ে দেব না। ডিসেম্বরে এই রাজপথ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির দখলে থাকবে, বিএনপির থাকবে না। ডিসেম্বরের রাজপথ আমাদের, আওয়ামী লীগের রাজপথ।
এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হতে বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলা হবে প্রস্তুত হয়ে যান। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভুত মাথা থেকে নামাতে আহ্বান জানান তিনি।
পরে ডিসেম্বরেই চূড়ান্ত খেলার ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া। শনিবারের কর্মসূচি শুধুমাত্র ওয়ার্ম আপ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম সমাবেশে বলেন, বিএনপি-জামাতের সকল অপশক্তিকে মোকাবিলা করবো। যারা খুনের রাজনীতি কায়েম করতে চায় ঢাকাবাসী তাদের মোকাবিলা করবে।
শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শবনম জাহান শিলা বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ এম জাহাঙ্গীর আলম। মিছিলের নেতৃত্ব দেন সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। তিনিও সমাবেশে বক্তব্য দেন।
More Stories
এক বছরের মধ্যে নির্বাচন চায় ৬১ শতাংশ মানুষ
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অগাস্টের ৮ তারিখ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে একটি অন্তর্বর্তী...
নির্বাচনে যত দেরি হবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়বে : তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নির্বাচন যত দেরি হবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়বে। সাবেক স্বৈরাচার দেশি-বিদেশি প্রভুদের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র...
অন্তর্বর্তী সরকার ফেল করলে আমাদের বিপদ আছে : এ্যানি
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্রের ভিতকে শক্তিশালী করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করাই...
উগ্রবাদীদের সাথে সরকারের একটি অংশ মিলে হিন্দুদের উচ্ছেদে চেষ্টা চালাচ্ছে: চিন্ময় কৃষ্ণ দাস
বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী অভিযোগ করেছেন, ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পরে যেখানেই আন্দোলন হয়েছে, সেখানেই...
আ.লীগের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: নুর
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, তাদেরকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে...
গুমের সঙ্গে জড়িত কেউ রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না: প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, গুমের সঙ্গে জড়িত কেউ রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না। বিশ্বের কোথাও গুমের সঙ্গে জড়িতরা...