প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী একটা আশঙ্কা, আগামী বছর একটা মহাসংকটের বছর হবে। সেই জন্য আগ থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টা বেশি বিবেচনা করা দরকার।’
আগামী বছর বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করছেন সবাই। এ নিয়ে সবাই আতংকিত ও শঙ্কিত। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাইকে নিজ নিজ জমিতে চাষাবাদ করতে ফের অনুরোধ জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) গণভবনে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা স্বাধীনতাবিরোধী, যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই দেশের মেয়েদের ধর্ষণ করেছে, গণহত্যা, লুটপাট করেছে পঁচাত্তরের পরে তারাই ক্ষমতায় এসেছে। তাদের সঙ্গে যারা হাত মেলাতে পারে, আর জাতির পিতাকে হত্যা করতে পারে, সেই দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখা কত দুরূহ, কত কঠিন সেটা নিশ্চয় সবাই বুঝতে পারেন।
আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে সরকার গঠন করার পরে দেশে নানা ধরনের সংকট সৃষ্টির চেষ্টা হয়েছে বলে দাবি করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, জনগণের সমর্থন ছিল বলেই প্রতিটি সংকট মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। যখন বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলছিল, বাংলাদেশে শুধু একটি ঘটনাই ঘটেছিল (হোলি আর্টিজান), তাও কিন্তু ১২ ঘণ্টার মধ্যে সমাধান করেছি। এরপর থেকে তেমন কোনো ঘটনা ঘটতে আমরা দেইনি।
করোনাভাইরাস, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে সরকার সক্ষম হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্য তুলে ধরেন।
‘আমাদের রিজার্ভ যথেষ্ট। যদি কোনো সংকট আসে তাহলে পাঁচ মাসের খাদ্য কেনার মতো সক্ষমতা আছে কিনা সেটা দেখা হয়। আমাদের তা আছে। বাংলাদেশ কখনও ঋণখেলাপি ছিল না’, বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
সংকট মোকাবিলায় জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কিছু কিছু পত্রিকা সারা জীবনই বাংলাদেশের খারাপ কথাটা বলতে পারলেই স্বস্তি পায়। এটা আমি যুগ যুগ ধরে দেখছি। এরকম এক ধরনের মানুষ থাকে। সবসময় নেতিবাচক চিন্তা অথবা পরশ্রীকাতরতায় ভোগে। মানুষ যতই ভালো করুক, তাদের চোখে ভালো হওয়া যাবে না। তবে, সেটা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই, চিন্তাও করি না। জনগণের ওপর আমার আস্থা ও বিশ্বাস আছে।
সরকারপ্রধান বলেন, বিরোধী দলের আন্দোলন, সংগ্রামের হুমকি, অনেক কিছু পাওয়া যাচ্ছে। সেটা তো তাদের কাজ। করতেই হবে। না হলে বিরোধী দল কী? বিরোধী দল যদি শক্তিশালী হতো, তাহলে অনেক কিছুই হতো।
দেশের অর্থনীতির জন্য সরকার স্বল্প, মধ্য ও দ্রুত মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যেকোনও ক্ষেত্রে দেশের ঝুঁকি নেই, এটুকু আমি কথা দিতে পারি।
More Stories
মার্কিন পুলিশের বর্বর আচরণ বিষয়ে বক্তব্য জানার আগ্রহ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিক্ষোভ দমনে পুলিশের বর্বর আচরণ নিয়ে দেশটির বক্তব্য জানার প্রবল আগ্রহ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের। বুধবার...
ধান কাটার মৌসুম হওয়ায় ভোট কম পড়েছে: সিইসি
বৃষ্টি ও ধান কাটার মৌসুম হওয়ায় প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান...
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের প্রভাব পড়তে পারে দেশের অর্থনীতিতে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়বে।...
জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে বেইজিং যাবেন প্রধানমন্ত্রী
আগামী জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে বেইজিং সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিল্লি সফরের পরই সরকারপ্রধান বেইজিং সফর করবেন। পাঁচ বছর পর...
শেহবাজ শরীফ যা দেখে, বিএনপি সেটাও দেখে না: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পাকিস্তান একসময় আমাদের বোঝা ভাবতো, এখন লজ্জিত। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে রিজভীদেরই লজ্জা পাওয়া...
চিত্রশিল্পী-লেখক ধ্রুব এষ আইসিইউতে
বিখ্যাত চিত্রশিল্পী ও লেখক ধ্রুব এষকে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চিত্রশিল্পী...