চলতি বছরের মাত্র ছয় মাসেই ৬ লাখ কর্মী প্রবাসে গিয়েছে। এতে রেমিট্যান্সের প্রবাহও অব্যাহত থাকবে। এতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ১ শতাংশ, এমন পূর্বাভাসও দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস, কাপিং উইথ শক: মাইগ্রেশন অ্যান্ড দ্য রোড টু রিজিলিয়েন্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।

সংস্থাটি বলেছে, রিজার্ভ ও রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রতিবেশী অনেক দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানেই রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে মোটেই আতঙ্কিত নয় বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কমপক্ষে ৫ মাসের আমদানি খরচ মেটানোর মতো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত আছে।

করোনায় প্রায় দুই বছর বাংলাদেশ থেকে প্রবাসে কর্মী পাঠানোর সব উদ্যোগ বন্ধ ছিল। করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্বে আচমকাই আরেক মহামারি হয়ে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এতে দেশে বেকারত্ব, দারিদ্র্য বাড়ার সঙ্গে চাপ পড়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও।

প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, ২০২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ থেকে প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছেন ছয় লাখের বেশি মানুষ। যদিও বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস বলছে, ধারণার চেয়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমবে। তবে মূল্যে রফতানি আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি, আমদানির ক্ষেত্রে প্রয়োজন বুঝে ব্যয় করতে সরকারকে পরামর্শও দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

Previous post আগামী বছর মহাসংকট, প্রস্তুতি নেওয়া দরকার: প্রধানমন্ত্রী
Next post সুলতানা কামালকে নিয়ে রিজভীর বক্তব্যের প্রতিবাদ ২২ বিশিষ্টজনের
Close