Read Time:4 Minute, 5 Second

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাঁচ দিনের দুর্গোৎসব শেষ হয়েছে। নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে আজ বুধবার সন্ধ্যার আগেই প্রতিমা বিসর্জনের নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।

বুধবার সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে দশমীবিহিত পূজা শুরু হয়। পূজা শেষে দর্পণ বিসর্জন দেওয়া হয়। এরপর সারা দেশে স্থানীয় আয়োজন ও সুবিধা মতো সময়ে বিজয়ার শোভাযাত্রাসহ প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। সর্বত্র বিসর্জন শেষে ভক্তরা শান্তিজল গ্রহণ করেন।

এদিন বিসর্জনের উদ্দেশ্যে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির মেলাঙ্গন থেকে কেন্দ্রীয় বিজয়া শোভাযাত্রা শুরু হয় বিকেল ৪টায়। এর আগে রাজধানীর ২৪১টি পূজামণ্ডপের অধিকাংশ এসে সমবেত হন পলাশীর মোড়ে। সেখান থেকে সম্মিলিত বাদ্যি-বাজনা, মন্ত্রোচ্চারণ ও পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিজয়ার শোভাযাত্রা। সদরঘাটের ওয়াইজঘাটের বুড়িগঙ্গা নদীর জলে একে একে বিসর্জন দেওয়া হয় প্রতিমা।

বিজয়া দশমী উপলক্ষে আজ বুধবার ছিল সরকারি ছুটি। শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সকালে বঙ্গভবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। তবে করোনার কারণে সংক্ষিপ্ত পরিসরে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

এ ছাড়া ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপে দুপুর ১২টায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। মণ্ডপে মণ্ডপে পুষ্পাঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ, ভোগ-আরতিসহ পালিত হয় নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এ ছাড়া দেশজুড়ে দুর্গোৎসব চলাকালে আলোকসজ্জা, আরতি প্রতিযোগিতা, স্বেচ্ছায় রক্তদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

গতকাল মহানবমীর দিন থেকেই মা দেবী দুর্গাকে বিদায়ের আয়োজনে বিষণ্ণ মন নিয়েই উৎসবে মেতেছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ। দিনটির প্রধান আকর্ষণ ছিল মণ্ডপে মণ্ডপে আরতি প্রতিযোগিতা। সন্ধ্যা ও রাতকে উজ্জ্বল করে ভক্তরা মেতে উঠেছিলেন নানা ঢঙে, আরতি নিবেদনে।

তবে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে বিভিন্ন স্থানে আয়োজনে ঘটে কিছুটা ছন্দপতন। দুপুর ২টা ৪ মিনিটে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে ত্রুটির কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, ময়মনসিংহসহ দেশের অর্ধেক অঞ্চলে বিদ্যুৎ চলে যায়। তবে এতে পূজা উদযাপনে ছেদ পড়েনি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রনাথ পোদ্দার।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে তেমন কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি। জেনারেটরের মাধ্যমে মণ্ডপগুলোতে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সন্ধ্যায় আরতি প্রতিযোগিতার সময় জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল ছিল বলে জানান তিনি।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post গ্রিসে প্রবাসী হিন্দু সম্প্রদায়ের দূর্গা উৎসব উদযাপন
Next post সাহিত্যে নোবেল পেলেন আনি এর্নো
Close