Read Time:3 Minute, 23 Second

ইরানে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভের নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। পুলিশের হেফাজতে থাকা কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরুর পর প্রথম এ বিষয়ে মুখ খুললেন খামেনি।

আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইরানের চরম শত্রুরা ‘দাঙ্গা’র নেপথ্যে ‘কলকাঠি নাড়ছে’। প্রায়শই ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের চরম শত্রু হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন তিনি।

নারী অধিকারের দাবিতে চলমান এ বিক্ষোভে পবিত্র কোরআন পোড়ানো হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন আয়াতুল্লাহ খামেনি। খবর বিবিসির

সোমবার পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর ক্যাডেটদের গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে খামেনি বলেন, মাসা আমিনির মৃত্যুতে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রমাণ ছাড়াই কিছু মানুষ হিজাব খুলে ফেলেছে, পবিত্র কোরআন পুড়িয়েছে এবং মসজিদে ও গাড়িতে আগুন লাগিয়েছে। আমি পরিস্কারভাবে বলছি, এসব দাঙ্গা এবং অস্থিতিশীলতা আমেরিকা ও দখলদার ভুয়া জায়নবাদী রাষ্ট্রের কারসাজি। দেশে-বিদেশে তাদের ভাড়াখাটা এজেন্টরা কিছু ইরানির সহায়তায় এসব করছে।

এদিকে সর্বশেষ রোববার রাতে তেহরানের শরিফ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে জানা গেছে। শিক্ষার্থীরা দেশটির নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে থাকা কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির (২২) মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর থেকে দেশটিতে নারীরা বিক্ষোভ শুরু করেন।

শরিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গাড়ি পার্কিং এলাকায় শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশকে নিরাপত্তাকর্মীদের হামলা থেকে বাঁচতে মাটিতে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে নিরাপত্তাকর্মীদের শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে দেখা গেছে।

মাসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ছড়ানো বিক্ষোভ তৃতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে। ইরানে বেশ কয়েক বছর এমন অস্থিরতা দেখা যায়নি। ইরানে চলমান বিক্ষোভের প্রতি সংহতি জানিয়ে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৫০টির বেশি শহরে সমাবেশ হয়েছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ন্যাটোতে যোগ দিতে ইউক্রেনকে ৯ দেশের সমর্থন
Next post জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় সরকারের ব্যর্থতা: মির্জা ফখরুল
Close