Read Time:3 Minute, 2 Second

দক্ষিণ আফ্রিকার পুমালাঙ্গা প্রদেশের লাইডেনবার্গে বাংলাদেশি নারী শান্তা ইসলাম ওরফে সিনথিয়া শিকদার (২২) হত্যায় সন্দেহভাজন হিসেবে তার স্বামী সুমন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ।

শান্তা ইসলামের আত্মীয় দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী পলাশ সিকদার গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সোমবার (২৯ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার সময় লাইডেনবার্গ পুলিশ একটি জঙ্গল থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করে।

লাইডেনবার্গে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন সুমন-শান্তা। ২৮ আগস্ট ওই বাসা থেকে শান্তার মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ।

শান্তার দেশের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ফলপাড়া গ্রামে। সুমন মিয়ার বাড়ি একই জেলার বাসাইল থানার কাঞ্চনপুর গ্রামে।

শান্তার এক আত্মীয়ের বরাত দিয়ে কমিউনিটি নেতা শফিকুর রহমান এর আগে জানিয়েছিলেন শান্তা তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। টেলিফোনে সুমনের সঙ্গে বিয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে আসেন শান্তা।

শান্তার পরিবারের অভিযোগ শান্তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতেন সুমন। বিভিন্ন সময় শান্তার পরিবারকে মোটা অংকের টাকা পাঠাতে বাধ্য করেন সুমন।

শান্তাকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক আলামত পেয়েছে স্থানীয় পুলিশ। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

পুলিশ জানিয়েছে সুমনকে দু’একদিনের মধ্যে আদালতে বিচারের মুখামুখি করা হবে। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে শান্তা ইসলামের পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জব্দ করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবাসী কমিউনিটি সংগঠন বাংলাদেশ পরিষদ, মুক্তবাংলা ফাউন্ডেশন, টাঙ্গাইল কমিউনিটি অব প্রিটোরিয়া, ইসলামি ফোরাম অব আফ্রিকাসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংগঠন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post একমাসের বেশি বিদেশি মুদ্রার নোট নিজের কাছে রাখা যাবে না
Next post সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার দুদিন পর প্রবাসীর মৃত্যু
Close