Read Time:2 Minute, 44 Second

একের পর এক মরদেহ আসছে অ্যাম্বুলেন্সে করে। নিহতদের স্বজনের আহাজারি, বাতাসে পোড়া চামড়ার গন্ধ। বিস্ফোরণে-আগুনে দগ্ধ ও আহতদের যন্ত্রণার আর্তনাদ। নিখোঁজের স্বজনদের দুশ্চিন্তা, ছুটোছুটি। শনিবার রাত থেকে রবিবার (৫ জুন) বিকেল পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিত্র ছিল এমনই।

চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীদের ভিড় ও স্বজনদের আহাজারি নতুন নয়। কিন্তু এতো মৃতদেহের বহর, স্বজনদের আহাজারি পুরো পরিবেশ পাল্টে দিয়েছে। চমেক হাসপাতালের এমন পরিবেশ আগে দেখেনি কেউ। স্বজনদের চিৎকার ও কান্নায় এখানে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে, হাসপাতালে শোকের মাতম। সীতাকুন্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর কন্টেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণে বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৫০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিস্ফোরণে ছিন্ন-বিছিন্ন হয়ে পড়ে মানুষের দেহ এবং আগুনে দগ্ধ আহতদের নিয়ে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে থাকে হাসপাতালে।

হাসপাতালের ভেতরে দগ্ধরা আর্তনাদ করছেন। আহত-নিহতদের স্বজনদের কান্নার রোল হাসপাতালজুড়ে। তাদের স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিবেশ। হাসপাতাল এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন শুনলেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে নিহত-আহতদের স্বজনেরা। নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজতে স্বজনরা ভিড় করছে হাসপাতালে।

এদিকে বিএম ডিপোসহ ওই এলাকা থেকে নিখোঁজ কর্মকর্তা-কর্মচারী, চালক-হেলপার ও নিরাপত্তা প্রহরীর সন্ধানে চমেক হাসপাতালে ভিড় করছেন স্বজনরা। রোববার (৫ জুন) সকাল থেকে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে খোঁজ করতে দেখা যায় স্বজনদের। আবার কেউ ছবি ও আইডি কার্ড দেখিয়ে প্রিয়জনের মরদেহ শনাক্ত করার চেষ্টায় আছেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post অ লী ক প্র তি বি ম্ব
Next post রাজাকারদের তালিকা করতে সংসদে বিল
Close