Read Time:4 Minute, 49 Second

বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র ‘মুজিব আমার পিতা’ প্রদর্শিত হয়েছে নিউইয়র্ক সিটির ফ্লাশিংয়ে বম্বে থিয়েটারে। এর উদ্যোক্তা ছিল বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। ৮ মে আয়োজিত বিশেষ প্রদর্শনীতে থাকা প্রবাসীরা বিশেষ এক মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পিনপতন নিরবতায় তা অবলোকন করেন। পিতার সাথে সন্তানের মায়ার বন্ধনকে ছাড়িয়ে যায় টুঙ্গিপাড়ার দুরন্ত ছেলে খোকার বঙ্গবন্ধু থেকে বাঙালি জাতির জনক হয়ে উঠার ধারাবিবরণীতে। বিশ্বের অবহেলিত-বঞ্চিত মানুষদের কণ্ঠস্বর হিসেবে খ্যাতি অর্জনকারী শেখ মুজিবের সুদীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের খুবই ছোট্ট একটি অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে ‘মুজিব আমার পিতা’ ছবিটি তৈরি হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার লেখা ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ গ্রন্থের অবলম্বনে।

১৯৪৯ থেকে ১৯৫২ সালের মধ্যকার ভাষা আন্দোলনকে মূলত প্রেক্ষাপট করা হয়েছে এই ছবিতে। ফ্রি প্রবেশাধিকারের এই প্রদর্শনীতে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রবাসীদের সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধারাও ছিলেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা-সহ শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে প্রদর্শনীর শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন কন্সাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম। শেষে ছবির ওপর নিজের মতামত ব্যক্ত করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক। ছবিটি নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা আলোকপাত করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বিদগ্ধ দর্শকেরা অভিমত দিয়েছেন, এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে আরো আকর্ষণীয়ভাবে উঠে এসেছে। চলচ্চিত্রের দৃশ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের সামনে প্রতীয়মান হয়েছেন এক ভিন্ন আঙ্গিকে। একজন কন্যার চোখ দিয়ে আমরা পিতাকে দেখতে পেলাম এই ছবিতে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তাঁর দৃষ্টিতে পিতা শেখ মুজিবকে কীভাবে দেখেছেন, কীভাবে বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেছেন তা বিবৃত হয়েছে বস্তুনিষ্ঠভাবে। সেই অবিসংবাদিত নেতার শৈশব, কৈশোরসহ তার কর্মময় জীবনের নানাদিক বিভিন্ন আঙ্গিকে উঠে এসেছে ছবিতে।
মূলত বঙ্গবন্ধুর জন্ম থেকে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন পর্যন্ত সময়কে এই অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বাইগার নদীর তীরে টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেয়া ছোট্ট খোকা কীভাবে একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন, কীভাবে স্বাধীনতার সেইপথে তিনি ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়েছিলেন এবং কীভাবে তিনি বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হয়ে উঠলেন; সেই পথচলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই চলচ্চিত্রে উপস্থাপিত হয়েছে।

ছবিটি পরিচালনা করেছেন সোহেল মোহাম্মদ রানা। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রেরর এক নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে বলেও অনেকে উল্লেখ করেছেন। অতিথি-দর্শকের মধ্যে আরও ছিলেন অপরাজিত হক এমপি, নুরুল আমিন এমপি এবং নাহিদ ইজাহার খান। ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রের অন্য স্টেটেও প্রদর্শিত হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী পলক।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post কুয়েতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদযাপন
Next post সিলিং ফ্যান পড়ে ফাটল কপাল, দিতে হল তিনটি সেলাই
Close