Read Time:5 Minute, 4 Second

বাংলাদেশ দূতাবাস আঙ্কারার উদ্যোগে স্বাধীনতার ৫১তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস এবং বাংলাদেশ ও জর্জিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৩০তম বার্ষিকী উদযাপিত হয়। তুরস্ক দূতাবাসের মিনিস্টার ও মিশন উপ-প্রধানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশ ও জর্জিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

শনিবার (৩০ এপ্রিল) তুরস্কের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়।

জর্জিয়ার একটি হোটেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জার্জিয়ার ফাষ্ট ডেপুটি স্পিকার জর্জি ভোলসকি, জর্জিয়া-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডসিপ গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. গিওরগি আমিলাখভারি, ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার ভিলাদিমির কনস্টানটিনিডি, মেম্বার অফ পার্লামেন্ট মিকাইল সার্জভেলাটজে।
এছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও অনারারি কন্সাল, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সদস্য এবং প্রবাসী বাংলাদেশী উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। হোটেলের প্রবেশ গ্যালারীতে বাংলাদেশের পর্যটন ও উন্নয়নের ওপর আলোক চিত্র-প্রদর্শনী প্রদর্শিত হয়।

তুরস্কে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান তার বক্তব্যে শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপণ করেন এবং বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সক্রিয় প্রচেষ্টার তুলে ধরেন। তিনি বর্তমান বাংলাদেশের সব মানদন্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বিষয়ে বিশেষভাবে আলোকপাত করেন।

এছাড়াও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশর মুক্তিযুদ্ধকে জর্জিয়ান জনগণের সক্রিয় সমর্থনের কথা বিশেষভাবে স্মরণ করেন। জার্জিয়ার ফাষ্ট ডিপুটি স্পীকার জর্জি ভোলসকি তার বক্তব্যে দূ’দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলো আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়াও বর্তমান বাংলাদেশের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের অবদানের প্রশংসা করে তার বক্তব্যে দেন।

অনুষ্ঠানে মহান স্বাধীনতার ৫১তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস এবং বাংলাদেশ ও জর্জিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৩০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ-জর্জিয়া মৈত্রী কেক কাটা হয়।

এই পর্বে অংশগ্রহণ করেন জার্জিয়ার জার্জিয়ার ফাষ্ট ডেপুটি স্পিকার জর্জি ভোলসকি, জর্জিয়া-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডসিপ গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. গিওরগি আমিলাখভারি, এমপি, ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার ভিলাদিমির কনস্টানটিনিডি, রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান এনডিসি ও তাঁর সহধর্মীনি প্রফেসর ড. নুজহাত আমিন মান্নান ও জর্জিয়ার ব্যবসায়ীবৃন্দ।

পরিশেষে, উপস্থিত সকলের মাঝে ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশিত হয়।

অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ দূতাবাসের নাম অঙ্কিত কলম, ফ্লাস কার্ড, নকশিকাঁথা ও বাংলাদেশের ইতিহাস, অর্থনীতি, সংস্কৃতি এবং জর্জিয়া ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর একটি ব্রোশিওর সব আমন্ত্রিত অতিথিদের উপহার হিসাবে প্রদান করা হয়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post সিডনিতে বাংলাদেশিদের বৃহৎ চাঁদ রাত মেলার প্রস্তুতি সম্পন্ন
Next post সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে নিউইয়র্কে শোক সভা
Close