Read Time:4 Minute, 3 Second

আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল নির্বাচন। অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশিদের ৬ দশকের ইতিহাসে এবারই প্রথম একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে ইতিহাস গড়লেন।

সাজেদা আক্তার সানজিদা এ বছর স্থানীয় সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে লিবারেল পার্টির প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল সংখ্যক ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন।

আগামী ফেডারেল নির্বাচনে সাজেদা আক্তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির প্রার্থী হিসেবে। দেশটির প্রধান রাজনৈতিক এই দলটির ৭৮ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো হিজাব পরা কোনো মুসলিম নারী মনোনয়ন পেলেন।

সাজেদা আক্তার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের ওয়াটসন ইলেকটোরাল ডিভিশন থেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তাকে লড়তে হবে বিরোধী জাঁদরেল নেতা টনি বার্কের সঙ্গে। তিনি লেবার পার্টির সরকারের অভিবাসনমন্ত্রী ছিলেন এবং সেই এলাকা থেকে ৫ বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এলাকাটি লেবার পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে সাজেদাকে।

এ ছাড়াও, ক্ষমতাসীন দলের অতিরিক্ত পশ্চিম ঘেঁষা নীতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে পড়া, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ব্যর্থতা ও পেনশনভোগীদের পাশে না দাঁড়ানো এবারের নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক ভাষ্যকাররা।

সাজেদা আক্তার সানজিদা যে আসন থেকে নির্বাচন করছেন সেই আসন থেকে ২০১৬ ও ২০১৯ সালে নির্বাচন করেছিলেন তার স্বামী সাবেক কাউন্সিলর শাহে জামান টিটু।

সাজেদা আক্তার সানজিদা কমিউনিটির সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একজন সংগঠক, সবার প্রিয় মুখ তিনি। বেশ কয়েকটি বাংলাদেশি সংগঠনের হয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কমিউনিটির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। সংগঠনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: উইমেন্স কাউন্সিল, ফাগুন হাওয়া, বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া ফ্যাশন অ্যাসোসিয়েশন, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল ও সেভ দ্য উইমেন। তিনি লিবারেল পার্টির লাকেম্বা ব্রাঞ্চের সাধারণ সম্পাদক।

সাজেদা আক্তার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন সব দেশেই সব নির্বাচনের মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রবাসে প্রতিটি বাংলাদেশির দায়িত্ব আমার পাশে দাঁড়ানো।’

তিনি আরও বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া যেহেতু বহুজাতিক দেশ তাই আমি চেষ্টা করবো সব কমিউনিটির জন্য কাজ করতে। তবে যেহেতু আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি তাই অবশ্যই আমার নিজের কমিউনিটির কথাই প্রথমে ভাববো।’

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post বৃহত্তর নোয়াখালী এসোসিয়েশন ইন পর্তুগালের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
Next post ‘ডিপ্লোম্যাট অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার পেলেন সাইদা মুনা তাসনিম
Close