Read Time:3 Minute, 6 Second

৪৫ দিনের মধ্যেই গ্রীনকার্ড প্রদানের বিশেষ একটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হোয়াইট হাউজ। এর নাম হচ্ছে ‘প্রিমিয়াম প্রসেসিং’। তবে এজন্যে অতিরিক্ত ফি লাগবে ২৫০০ ডলার করে। একইসাথে আসছে মে থেকে সীমান্ত খুলে দেয়া হবে এবং দৈনিক গড়ে ১৮ হাজার এসাইলাম প্রার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রে আসতে দেবে। করোনা মহামারির কারণে বিভিন্ন ক্যাটাগরি তথা পারিবারিক কোটা, এসালাইম এবং স্ট্যাটাস এডজাস্টমেন্টের ৯৫ লাখ আবেদন ঝুলে গেছে। এ সংখ্যা করোনা পূর্ববর্তী অর্থাৎ ২০১৯ অর্থ বছরের তুলনায় ৬৬% বেশী। ট্রাম্প আমলে অভিবাসন দফতরের হাজার হাজার কর্মচারি ছাটাই করা হয়েছে। সে সব পদ এখনো পূরণ করা সম্ভব হয়নি। এমনি অবস্থায় ঝুলে থাকা আবেদনের সংখ্যা বাড়ছে উদ্বেগজনক হারে। অতিরিক্তি ফি দিয়ে খন্ডকালিন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে নাকি অবসরে যেতে বাধ্য কর্মচারিদেরকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা হবে তা জানা সম্ভব হয়নি।

এদিকে, অভিবাসন দফতর সূত্রে আরেকটি সংবাদে জানা গেছে, নবায়নের সীমা অতিবাহিত হবার পথে থাকা ওয়ার্ক পারমিট আপনাআপনি আরো ৬ মাস ব্যবহারোপযোগী হবে। কারণ, সে ক্ষেত্রেও রয়েছে বড় রকমের জট।
হোয়াইট হাউজ সূত্রে আরো জানা গেছে, করোনার কারণে বিশেষ এক আদেশে সীমান্তে এসাইলাম প্রার্থনাকারিদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার রহিত করা হয়েছিল। আবেদন বিবেচনাধীন থাকাবস্থায় সকলকে মেক্সিকোতে অবস্থান করতে হয়েছে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আসায় সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করা হবে ২৩ মে। অর্থাৎ ঐ দিন যারা সীমান্তে এসে এসাইলাম প্রার্থনা করবে এবং অভিবাসন কর্মকর্তাদের কাছে যাদের আবেদন গ্রহণযোগ্য বলে মনে হবে তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার দেয়া হবে। সে সংখ্যা দৈনিক কোনভাবেই ১৮ হাজারের বেশী হবে না। এই ব্যবস্থাটি অনেক পুরনো হলেও করোনা মহামারির তান্ডবে তা রহিত করা হয়েছিল। এ ইস্যুতে বাইডেনের কঠোর সমালোচনা করছে রিপাবলিকানরা। তারা বলছেন যে, এরফলে আবারো দক্ষিণের সীমান্ত দিয়ে হাজার হাজার নারী-পুরুষ-শিশু যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে চাইবে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post লিবিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৫ বাংলাদেশি দগ্ধ
Next post পুতিনের মেয়েদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
Close