Read Time:2 Minute, 52 Second

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত প্রথম লবিস্ট নিয়োগ করেছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের জন্য। দেড় লাখ ডলার ব্যয়ে একটি মার্কিন প্রতিষ্ঠানকে এ জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। এভাবে দেশের স্বার্থবিরোধী কাজের জন্য আটটি প্রতিষ্ঠানকে লবিস্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

লবিস্ট নিয়োগেব্যয় করা অর্থের উৎস সম্পর্কেও জানতে চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘বিএনপির দলের আয়-ব্যয়ের হিসাবে তা উল্লেখ আছে কি?’

আজ বুধবার জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় সংসদের সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে ওই সব প্রতিষ্ঠানের চুক্তিপত্রগুলো আমাদের কাছে রয়েছে। যা আমরা যথাযথভাবে তুলে ধরেছি। দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে এ অপতৎপরতা নিশ্চয়ই বিএনপির নেতাকর্মীরাও সমর্থন করবেন না। কারণ তারা নিশ্চয়ই চাইবেন না দেশের উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাক। বাংলাদেশের সাহায্য-সহযোগিতা বন্ধ হোক। তাই শীর্ষ কয়েকজন নেতার এই অপতৎপরতার বিরুদ্ধে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা নিশ্চয়ই প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।’

সরকারের পক্ষ থেকে লবিস্ট নিয়োগের অভিযোগ অস্বীকার করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধে যা যা করণীয়, তা করছে সরকার। দেশের মঙ্গলের জন্য, উন্নয়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববাসীর কাছে সত্য তুলে ধরা হচ্ছে। উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র দেখানো হচ্ছে। এর ফলে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল হয়েছে।’

অধিবেশন চলাকালে সংসদের বড় স্ক্রিনে এ বিষয়ের কিছু তথ্য ও নথি দেখানো হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এসব তথ্য আমি বানাইনি। এসব তথ্য চাইলে আপনারাও পেতে পারেন। আমেরিকার লবিস্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে এগুলো দেওয়া আছে।’

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ইসি গঠনে আনা আইন অসম্পূর্ণ: সংসদে মেনন
Next post ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন পক্ষপাতদুষ্ট : তথ্যমন্ত্রী
Close