মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের বিদ্যমান রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতে এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বুধবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে শুধুমাত্র মানবিক সহায়তার মাধ্যমে নয়, প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে রাজনৈতিক নিষ্পত্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জোরালো সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পাশাপাশি জাতিসংঘের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক কার্যক্রমে ‘সবচেয়ে বড় দাতা’ যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদূত মিলারকে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়েও বিষদ অবগত করেছেন।
এসময় আব্দুল মোমেন বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের সঙ্গে সাক্ষাতে বাংলাদেশের বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পে অংশগ্রহণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তারা দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
এ কে আব্দুল মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে তার মেয়াদে বাংলাদেশে সক্রিয় কাজের জন্য ধন্যবাদ জানান। করোনাভাইরাস মহামারিকালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ যে ভ্যাকসিন সহায়তা পেয়েছে তার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পৃক্ততার প্রশংসা করেন।
২০২১ সালের এপ্রিল মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত জন কেরির বাংলাদেশ সফরের কথা আনন্দের সঙ্গে স্মরণ করেন আব্দুল মোমেন।
ড.আব্দুল মোমেন দেশের দক্ষিণাঞ্চলে উপকূলীয় বাঁধ পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে বাংলাদেশকে সহায়তা করার মার্কিন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
পরে আব্দুল মোমেন ও রবার্ট আল মিলার প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজনসহ মানবাধিকার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার উপায় নিয়েও আলোচনা করেন।
সরকার ও জনগণের কাছ থেকে উষ্ণ আতিথেয়তার কারণে বাংলাদেশে তার কর্মজীবনের সেরা সময় বলে উল্লেখ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সব ধরনের সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে শুধুমাত্র মানবিক সহায়তার মাধ্যমে নয়, প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে রাজনৈতিক নিষ্পত্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জোরালো সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিত সংলাপের মাধ্যমে মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত থাকতে ইচ্ছুক।
More Stories
সুবিধামতো সময় যে কোনো দলে যোগ দিতে পারি: উপদেষ্টা আসিফ
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া জানিয়েছেন, উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগের বিষয় এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। তবে সুবিধামতো...
চীন সব সময় শক্তিশালী বাংলাদেশ দেখতে চায় : মির্জা ফখরুল
চীন সব সময় একটা শক্তিশালী বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশে সার্বিক একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল...
ভারতে ৫৫০ অবৈধ ‘বাংলাদেশি’ আটকের দাবি
ভারতের গুজরাট রাজ্যে সাড়ে ৫০০ কথিত অবৈধ বাংলাদেশিকে আটক করার দাবি করেছে সেখানকার পুলিশ। গুজরাট পুলিশ, স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি)-এর...
রোমে বাইডেনসহ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন ড. ইউনূস
ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় শুরু হয়েছে পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্য। শনিবার তাকে শেষ বিদায় জানাতে সেখানে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে দেখা যায়...
বেদের মেয়ের রাজকুমার এখন রাজনৈতিক দলের নেতা
‘বেদের মেয়ে জোসনা’ সিনেমায় রাজকুমার চরিত্রে অভিনয় করে বিপুল খ্যাতি অর্জন করেছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন। বেদের মেয়ের সেই রাজকুমারের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ...
পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে পোপ...