Read Time:2 Minute, 44 Second

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন করার উদ্যোগকে ‘যেই লাউ সেই কদু, বরং পঁচা কদু’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ইসি নিয়োগে মন্ত্রিসভায় যে আইনের খসড়া অনুমোদন হয়েছে, তাতে ‘পর্বতের মূষিক প্রসব’ বা একটি ‘পঁচা কদু’ হতে যাচ্ছে। অনুগত ও অপদার্থ ইসি গঠনের চলমান প্রক্রিয়াকে দলীয় স্বার্থে আইনি রূপ দেওয়ার সরকারি অপপ্রয়াসের ফলাফল হবে ‘যেই লাউ, সেই কদু’। এবার সম্ভবত হতে যাচ্ছে একটি পঁচা কদু।

আরও বলা হয়, ইসি এতদিন যা প্রশাসনিক কায়দায় হতো,এখন তা আইনিভাবে হবে। এই আইনে কোনো নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ,আইনজ্ঞ থাকতে পারবেন না। দুনিয়ার কোথাও এ নিয়ম নেই। সারাজীবন সরকারি আদেশ মেনে চলা যাদের অভ্যাস, সেই কর্মকর্তাদের নিয়ে এই কমিশন হবে। এ জন্যই এটি ‘যেই লাউ সেই কদু, বরং পচা কদু’। এই সরকার ও তাদের গঠিত কোনো কমিশনের অধীন বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। যেভাবেই ইসি গঠন হোক না কেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি।

মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে এ কথা বলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম খান বলেন, পঁচা কদু এজন্য বলছি যে, খসড়া আইনে আরেক প্রস্তাব করা হয়েছে-সরকারি চাকরির দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ছাড়া কেউ এর সদস্য হতে পারবেন না। অর্থাৎ সিভিল সোসাইটির কেউ অথবা কোনো শিক্ষাবিদ, কোনো আইনজ্ঞ তারা কেউ সদস্য হতে পারবেন না। দুনিয়ার কোথায় এরকম বিধি-নিষেধ আছে? এই যে সারা জীবন সরকার আদেশ মেনে চলার যাদের অভ্যাস, সেই সরকারি কর্মকর্তা বা যাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার তাদেরকেই দিয়ে শুধু নির্বাচন কমিশন হবে, এরকম একটা আইন করা-এটা তো সেই কদু … আমরা সেজন্য বলেছি যে, সম্ভবত পচা কদু হতে যাচ্ছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post কাতার আওয়ামী লীগ মীসাইড আঞ্চলিক শাখার কমিটি ঘোষণা
Next post প্রস্তাবিত নির্বাচন কমিশন আইন সান্ত্বনা পুরস্কার: আ স ম রব
Close