প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে অতীতে যারা ছিনিমিনি খেলেছে তারা শাস্তি পেয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের ক্ষমতা থেকে হঠিয়েছে। আর আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত বলেই ১৩ বছর পূর্ণ করতে পেরিছি এবং পর পর তিনবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হলে সেটা সম্ভব ছিল না।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এই আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত থেকে সভাপতিত্ব করেন।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এদেশের উন্নয়নের চাকাটা গতিশীল থাকবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুনি- যুদ্ধাপরাধী, দুর্নীতিবাজদের কোন স্থান বাংলার মাটিতে হবে না। এই কথাটটা তাদেরকে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, জনগণের অধিকার নিয়ে আমরা কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না।
সরকার প্রধান বলেন, যারা আজকে দুর্নীতি খোঁজে তাদের বলব, ২০০১ সাল থেকে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে সেটা দেখার জন্য। যারা ঋণ খেলাপির কথা বলেন তাদের বলব, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর এলিট শ্রেণি তৈরি করার জন্য যে ঋণ খেলাপি সৃষ্টির কালচার এ দেশে তৈরি করে গেছে সেই খবরটা আগে নিন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ভালো কাজ করলেই তার বিরুদ্ধে লেগে থাকা, এটা এক শ্রেণির মানুষের অভ্যাস। কারণ যারা এ দেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা খুনিদের নিয়ে এবং যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে সরকার গঠন করে রাষ্ট্র পরিচালনা করে বাংলাদেশকে, বাংলাদেশের উন্নয়নকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে চেয়েছিল- তাদের কিছু প্রেতাত্মা এখনো সমাজে আছে।
নির্বাচন শেখ হাসিনা বলেন, আজকে যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাদের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার পদত্যাগের কথা স্মরণ করাতে চাই।২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন যারা করে তাদের আমরা জিজ্ঞাসা করি, ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়া কেমন ইলেকশন করেছিল? আজকে যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তারা ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ভুলে যান কী করে? কয় পার্সেন্ট ভোট পড়েছিল? চার শতাংশ ভোটও পড়েনি। সব জায়গায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করে ভোটের বাক্স সিল দিয়ে ভরে খালেদা জিয়া নাকি তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী। জনগণের ভোট চুরি করেছিল বলে কী হয়েছিল তার পরিণতি! তাদের তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী তো তিন মাসও ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল।
তিনি বলেন, বিএনপি আমলে ছিল ৬৪ হাজার কোটি টাকার বাজেট, সেখান থেকে বর্তমান সরকার ৬ লাখ কোটি টাকার ওপরে বাজেট দিতে সক্ষম হয়েছে। অথনৈতিক উন্নতি না হলে যা সম্ভব ছিল না।
তিনি আরও বলেন, যদি অর্থ ব্যয়ই না হবে তাহলে এত কাজ হয় কিভাবে। কাজেই এগুলো যারা দেখে না তাদের চোখে ঠুলি পড়ানো। খুনিদের ঠুলি, যুদ্ধাপরাধীদের ঠুলি। তারা দেশের উন্নয়ন দেখে না, আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল বলে প্রশংসা করলেও সেটা তাদের নজরে আসে না। কারণ লুটে খেতে পারছে না, সেটাই তাদের বড় কথা। তাদের লক্ষ্য দেশের হাড্ডি, কঙ্কালসার মানুষ দেখিয়ে বিদেশ থেকে টাকা এনে শুধু লুটপাট করে খাবে।
More Stories
‘মার্চ ফর গাজা’য় বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল’ পুনর্বহালের দাবি
গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশের কর্মসূচি ‘মার্চ ফর গাজা’র ঘোষণাপত্রে বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল’ (ইসরাইল ব্যতীত) লেখাটি...
সরকারের একমাত্র কাজ শেখ হাসিনার বিচার করা: মৎস্য উপদেষ্টা
শেখ হাসিনার বিচার এই মাটিতে এই সরকারের আমলেই হতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একমাত্র কাজ যদি কিছু থাকে, সেটা হবে শেখ...
‘প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করুন’
দেশ ও জাতির কল্যাণে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক...
ডিসেম্বরে নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কারের তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতীয় ঐকমত্য...
পুরোপুরি পুড়ে ছাই ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষ উদ্যাপনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তৈরি হওয়া দুটি প্রতীকী মোটিফে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার সকালে...
‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’তে আগুন
চারুকলায় নববর্ষের শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ভাস্কর্যে আগুন দেওয়া হয়েছে। কে বা কারা এই আগুন দিয়েছে তা এখনো শনাক্ত করতে...