Read Time:2 Minute, 55 Second

দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সংগঠন সার্কের (১৮তম) শেষ শীর্ষ সম্মেলন হয়েছিল নেপালের কাঠমান্ডুতে ২০১৪ সালের নভেম্বরে।

১৯তম সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানের ইসলামাবাদে। ভারতের অনাগ্রহে তা শেষ পর্যন্ত স্থগিত হয়। এবারও সম্মেলনে ভারতের কোনো আগ্রহ নেই।

সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে এবারও অংশগ্রহণে সম্মত হয়নি ভারত। ফলে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত করা নিয়ে পাকিস্তানের যাবতীয় উদ্যোগ বিফলে যেতে বসেছে।

বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানান, যে যে কারণে এই আঞ্চলিক জোটের শীর্ষ সম্মেলন বন্ধ রয়েছে তার কোনো পরিবর্তন এখনো হয়নি। তাই শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে ঐকমত্যও নেই।

সার্কের সনদ অনুযায়ী, সদস্যদেশগুলোর সবাই একমত না হলে শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে না।

পাকিস্তানে ২০১৬ সালে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও মূলত ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের জেরেই তা হয়নি। অদূর ভবিষ্যতেও যে হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই সেটাও ভারতের এ অবস্থান থেকে পরিষ্কার।

আফগানিস্তানে ক্ষমতার পালাবদলের পর পাকিস্তান নয়া উদ্যমে সম্মেলন করতে উৎসাহী হয়ে উঠেছে। সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি সম্প্রতি সেই আগ্রহের কথা জানিয়ে বলেছেন, অসুবিধা থাকলে ভারত ওই সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দিতে পারে।

এ বিষয়ে ভারতের মনোভাব কী, তা জানতে চাওয়া হলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, গণমাধ্যমে এ–সংক্রান্ত খবর ভারতের নজরে এসেছে। যে যে কারণে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন ২০১৬ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে, তা এখনো অপরিবর্তিত আছে। কাজেই শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে ঐকমত্য নেই।

সম্মেলন না হওয়ার জন্য শাহ মাহমুদ কোরেশি ভারতের ‘একগুঁয়েমি মনোভাবকে’ দায়ী করেছিলেন। সার্ককে ‘অকার্যকর’ করে তোলার দায়ও পুরোপুরি ভারতের ওপর চাপিয়েছিলেন তিনি।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন স্ত্রী
Next post ট্রাম্পকে ধুয়ে দিলেন বাইডেন
Close