Read Time:4 Minute, 28 Second

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরাইলিদের সাথে ফিলিস্তিনিদের শান্তি প্রতিষ্ঠার আলোচনায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ‘এক বাবার মতো’ আলোচনা করেছেন।

ইসরাইলি সাংবাদিক ও ‘ট্রাম্পস পিস : দ্য আবরাহাম অ্যাকোর্ডস অ্যান্ড দ্য রিশেপিং অব দ্য মিডল ইস্ট’ বইয়ের লেখক বারাক রাভিদের কাছে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এই কথা বলেন তিনি। শনিবার এই সাক্ষাতকার প্রকাশিত হয়।

সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর চেয়ে মাহমুদ আব্বাস শান্তিচুক্তির জন্য অধিক আগ্রহী ছিলেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘আব্বাসের সাথে আমার চমৎকার বৈঠক হয়েছিলো। এবং আমরা একসাথে বহু সময় কাটিয়েছি, বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছি। তিনি ছিলেন অনেকটা বাবার মতো। আমি বলতে চাচ্ছি, তিনি এতই কোমল ছিলেন, তার চেয়ে কোমল আর কেউ হতে পারে না।’

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি চিন্তা করেছিলাম ফিলিস্তিনিদের মানানো কঠিন হবে এবং ইসরাইলিরা শান্তি প্রতিষ্ঠা ও চুক্তির জন্য যে কোনো কিছু করবে। কিন্তু আমি দেখলাম তা সত্য নয়।’

সাক্ষাতকারে সাবেক ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে এক বৈঠকের কথা স্মরণ করেন ট্রাম্প।

ওই বৈঠকে ট্রাম্প ফিলিস্তিনিদের সাথে শান্তি স্থাপনের জন্য বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে আলোচনা করতে চাইলে নেতানিয়াহু তার অনীহা প্রকাশ করেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ফিলিস্তিনিদের সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দাবি নিয়ে কথা বললেও বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কখনোই প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী ছিলেন না।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, তিনি আমাদেরকে শুধু ব্যস্ত রেখেছেন।’

এদিকে হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পর বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে কোনো কথাই হয়নি বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ডাক নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিবির জন্য কেউ এতকিছু করেনি। আমি বিবিকে পছন্দ করতাম। এখনো বিবিকে আমি পছন্দ করি।’

ট্রাম্প বলেন, ‘অন্য যাদের সাথে আমি কাজ করেছি, তাদের মধ্যে আমি তার জন্যই বেশি কাজ করেছি। কিন্তু আমি আনুগত্যও পছন্দ করি। বাইডেনকে প্রথম অভিনন্দন জানানো ব্যক্তি হচ্ছেন বিবি।’

তিনি বলেন, ‘বিবি চুপ থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি এক ভয়াবহ ভুল করেছেন।’

ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন ইসরাইলিদের সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠা না করার জন্য ফিলিস্তিনিদের অভিযুক্ত করে আসছিলো। অখণ্ড জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগেই ইসরাইলে মার্কিন দূতাবাস তেলআবিব থেকে সরিয়ে জেরুসালেমে নিয়ে আসা হয়। একইসাথে সিরিয়ার কাছ থেকে দখল করে নেয়া গোলান মালভূমির ওপর ইসরাইলের অধিকারের স্বীকৃতি দেয়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ‘অতিরিক্ত পরিশ্রমে ক্লান্ত ওবায়দুল কাদের, দরকার বিশ্রাম’
Next post আশা করছি নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবস্থান পরিবর্তন করবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
Close