যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরাইলিদের সাথে ফিলিস্তিনিদের শান্তি প্রতিষ্ঠার আলোচনায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ‘এক বাবার মতো’ আলোচনা করেছেন।
ইসরাইলি সাংবাদিক ও ‘ট্রাম্পস পিস : দ্য আবরাহাম অ্যাকোর্ডস অ্যান্ড দ্য রিশেপিং অব দ্য মিডল ইস্ট’ বইয়ের লেখক বারাক রাভিদের কাছে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এই কথা বলেন তিনি। শনিবার এই সাক্ষাতকার প্রকাশিত হয়।
সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর চেয়ে মাহমুদ আব্বাস শান্তিচুক্তির জন্য অধিক আগ্রহী ছিলেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আব্বাসের সাথে আমার চমৎকার বৈঠক হয়েছিলো। এবং আমরা একসাথে বহু সময় কাটিয়েছি, বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছি। তিনি ছিলেন অনেকটা বাবার মতো। আমি বলতে চাচ্ছি, তিনি এতই কোমল ছিলেন, তার চেয়ে কোমল আর কেউ হতে পারে না।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি চিন্তা করেছিলাম ফিলিস্তিনিদের মানানো কঠিন হবে এবং ইসরাইলিরা শান্তি প্রতিষ্ঠা ও চুক্তির জন্য যে কোনো কিছু করবে। কিন্তু আমি দেখলাম তা সত্য নয়।’
সাক্ষাতকারে সাবেক ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে এক বৈঠকের কথা স্মরণ করেন ট্রাম্প।
ওই বৈঠকে ট্রাম্প ফিলিস্তিনিদের সাথে শান্তি স্থাপনের জন্য বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে আলোচনা করতে চাইলে নেতানিয়াহু তার অনীহা প্রকাশ করেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ফিলিস্তিনিদের সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দাবি নিয়ে কথা বললেও বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কখনোই প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী ছিলেন না।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, তিনি আমাদেরকে শুধু ব্যস্ত রেখেছেন।’
এদিকে হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পর বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে কোনো কথাই হয়নি বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ডাক নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিবির জন্য কেউ এতকিছু করেনি। আমি বিবিকে পছন্দ করতাম। এখনো বিবিকে আমি পছন্দ করি।’
ট্রাম্প বলেন, ‘অন্য যাদের সাথে আমি কাজ করেছি, তাদের মধ্যে আমি তার জন্যই বেশি কাজ করেছি। কিন্তু আমি আনুগত্যও পছন্দ করি। বাইডেনকে প্রথম অভিনন্দন জানানো ব্যক্তি হচ্ছেন বিবি।’
তিনি বলেন, ‘বিবি চুপ থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি এক ভয়াবহ ভুল করেছেন।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন ইসরাইলিদের সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠা না করার জন্য ফিলিস্তিনিদের অভিযুক্ত করে আসছিলো। অখণ্ড জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগেই ইসরাইলে মার্কিন দূতাবাস তেলআবিব থেকে সরিয়ে জেরুসালেমে নিয়ে আসা হয়। একইসাথে সিরিয়ার কাছ থেকে দখল করে নেয়া গোলান মালভূমির ওপর ইসরাইলের অধিকারের স্বীকৃতি দেয়।
More Stories
পেন্টাগন থেকে ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলার পরিকল্পনার নথি ফাঁস
ইসরায়েলে ১ অক্টোবর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলার পরিকল্পনার নথির সামাজিক মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও...
হামাসপ্রধান সিনওয়ার নিহতের গুঞ্জন, খতিয়ে দেখছে ইসরায়েল
হামাসের নতুন প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় নিহত হওয়ার গুঞ্জন উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে...
বাংলাদেশিসহ সব শান্তিরক্ষীকে সরিয়ে নিতে বললেন নেতানিয়াহু
লেবাননে শান্তিরক্ষী হিসেবে দায়িত্বরত সব সেনাকে সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে সরিয়ে নিতে জাতিসংঘকে অনুরোধ জানিয়েছেন দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। রোববার...
ইয়েমেনে সম্মিলিত বিমান হামলা চালালো যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য
ইয়েমেনের হোদেইদাহ বিমানবন্দর, সানা এবং ধামার সিটিকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। ইয়েমেনের হুথি সমর্থিত টেলিভিশন চ্যালেন...
মুসলিমদের শত্রু এক: খামেনি
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, আমরা যদি এক হতে পারি...
ইসরাইলকে আরও কঠোর জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইসরাইল যদি ‘সর্বনিম্ন ভুল’ করে তাহলে তেহরান নিশ্চিতভাবে আরও ‘শক্তিশালী এবং কঠোর প্রতিক্রিয়া’...