Read Time:4 Minute, 22 Second

পূর্ব লন্ডনের ব্রোমলি বাই বো এলাকার লাইমহাউস ক্যানেলের পাশে নেভিগেশন রোড থেকে ৬ নভেম্বর সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটে ব্রিটিশ বাংলাদেশি কোরআনে হাফেজ মোহাম্মদ আকিল মেহেদীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স ২২ বছর। তিনি মিসর থেকে কোরআনে হিফজ শেষ করে লন্ডনে ফিরে এসে বিভিন্ন বয়সীদের কোরআন শিক্ষা দিচ্ছিলেন। একই সঙ্গে নিহত হাফেজ আকিল বর্তমানে অ্যাকাউন্টেসি নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন।

হাফেজ আকিল মেহেদীর গ্রামের বাড়ি বাংলাদেশের সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার কানিশাইলে। লন্ডনে জন্ম ও বেড়ে ওঠা আকিল মায়ের সঙ্গে নর্থ লন্ডনের ক্যামডেন টাউনের ফিন্সলে এলাকায় থাকতেন। হাফেজ আকিল মেহেদী মা ছাড়াও আরও দুই বোন রেখে গেছেন। তার বাবা জিয়াউর রহমান ছয় বছর ধরে বাংলাদেশে বসবাস করছেন।

এ হত্যায় জড়িত সন্দেহে ৮ নভেম্বর সোমবার ও ৯ নভেম্বর মঙ্গলবার তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত তিনজনই ব্রিটিশ বাংলাদেশি তরুণ। মেট পুলিশের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, ৮ নভেম্বর ১৮ বছরের মাজেদ আহমেদ নামে এক তরুণ স্বেচ্ছায় গিয়ে নর্থ লন্ডন পুলিশ স্টেশনে আত্মসমর্পণ করে হত্যার কথা স্বীকার করে। আকিল মেহেদীর লাশ পাওয়া যায় বাই বো এলাকার নেভিগেশন রোডে এই তরুণের বাসায়।
তারপর ৯ নভেম্বর সকালে হেকনি এলাকার বিশপস ওয়ের এক বাসা থেকে ২১ বছর বয়সী মোজাহিদ আলী নামের এক তরুণ ও দুপুরে ২৮ বছর বয়সী আবুল কাশেম নামে তৃতীয় তরুণকে গ্রেফতার করা হয় নিউহ্যাম কাউন্সিলের কেনিং টাউন ভিক্টোরিয়া ডক রোড থেকে। গ্রেফতারকৃত সন্দেহভাজন তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যার চার্জ গঠন করা হয়েছে। বুধবার সকালেই তাদের বো ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে তোলা হয়।

এদিকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হাফেজ আকিল মেহেদীকে গত শনিবার টাওয়ার হ্যামলেটসে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে ভয়েস ফর জাস্টিস ইউকের উদ্যোগে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিউনিটি নেতা কলা মিয়ার সভাপতিত্বে ও কে এম আবু তাহের চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ড. এম এ আজিজ, সাংবাদিক খান জামাল নুরুল ইসলাম, মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা সৈয়দ তামিম আহমদ, জনপ্রিয় টিভি প্রেজেন্টার মুফতি সালেহ আহমদ, আলহাজ নুর বক্স, কবি শিহাবুজ্জামান কামাল, সম্ভাব্য কাউন্সিলর পদপ্রার্থী এ কে হেলাল, শাহিন আহমদ, ব্যবসায়ী সুমন প্রমুখ।

সভায় বক্তারা, আকিল মেহদীর হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে খুনিদের শাস্তি দাবি করেন। বক্তারা টাওয়ার হ্যামলেটসে আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বর্তমান প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেন। সভায় বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ সমাবেশ অথবা মানববন্ধন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post নিউইয়র্কে ‘চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’ রবিবার
Next post শেখ হাসিনার পদত্যাগ ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না : ফখরুল
Close