Read Time:3 Minute, 51 Second

ইনডেমনিটি অ্যাক্ট জারি শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করার জন্য করা হয়নি, এর মাধ্যমে দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র করার পরিকল্পনাও ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ শুক্রবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সিনিয়র কৃষিবিদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছিল যে, জাতির পিতাকে হত্যা করে বিচার বন্ধ করে দিয়েছি। তোমাদের হত্যা করলে তার বিচার হবে না। এসব ধাপ্পাবাজি দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সাহস রুদ্ধ করা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে আইনসম্মতভাবে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করেন। এই অধ্যাদেশের মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আদালতে কোনও মামলা করা যাবে না। শুধু তাই নয়, আদালতও কোনও দিন, কোনও সময়, এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলতে পারবে না। তার মানে হচ্ছে, জনগণ বিচার পাওয়ার জন্য আদালতে যেতে পারবে না, তাদের বিচার পাওয়ার শেষ আশ্রয়স্থলে যেতে পারবে না। এটা হলো জনগণের ক্ষমতা হরণ করা। আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়েও এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না।

মন্ত্রী বলেন, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের একটি অনুচ্ছেদে বলা ছিল, যারা এই আইনের দ্বারা ‘প্রটেকটেড’ হবেন তাদের একটি সার্টিফিকেট লাগবে; যা রাষ্ট্রপতি দেবেন। তার অর্থ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কিত করা হয়েছিল।

আনিসুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর একটি জিডিও করা হয়নি, বিচার তো দূরের কথা। আমরা তখন অনেক হত্যাকাণ্ড দেখেছি, তার বিচার হয়নি। অনেক মানুষকে মরে যেতে দেখেছি, তার বিচার হয়নি। জেল হত্যাকাণ্ডের একটি এফআইআর হয়েছিল, তা আর আলোর মুখ দেখেনি।’

ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের পর বন্ধু হত্যাকাণ্ড, জেল হত্যাকাণ্ড ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারসহ অনেক বড় বড় হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে বলে উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী। এর অর্থ শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন বলে জানান তিনি।

কেআইবির ঢাকা মেট্রোপলিটন শাখা আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি লিয়াকত আলী জুয়েল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন-আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, কেআইবির মহাসচিব মো. খায়রুল আলম প্রিন্স, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. তাসদিকুর রহমান সনেট প্রমুখ।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post নৌকায় চড়ে চেয়ারম্যান হলেন ‘সাবেক শিবির নেতা’ ইকবাল
Next post মহামারিতে অনেক দেশের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী
Close