Read Time:3 Minute, 25 Second

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যা চালানোর প্রতিবাদে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন ইউরোপে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের পাশে গত বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় নিরীহ বাঙালিদের ওপর গণহত্যা চালানোর জন্য ইসলামাবাদকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ব্যাপক অত্যাচার চালিয়েছিল। নৃশংসভাবে তারা প্রায় ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছিল।’ ইতিহাসের ভয়াবহ এ নৃশংসতাকে গণহত্যা হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও অপরাধীদের বিচার শুরু করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

সুইজারল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশি মানবাধিকার কর্মী খলিলুর রেহমান বলেন, ‘পাকিস্তান বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চায়নি এবং এখনও পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে একটি গণহত্যা চলছে। সিন্ধু, কাশ্মীরেও গণহত্যা চালাচ্ছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের উচিত বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং জাতিসংঘকে আন্তর্জাতিকভাবে ১৯৭১ সালে চালানো হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে হবে।’

বাংলাদেশী মানবাধিকার কর্মী এবং বেলজিয়ামভিত্তিক গ্লোবাল রেসিডেন্ট সলিডারিটি ফর পিসের প্রেসিডেন্ট মুরশাদ বলেন, ‘আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি ১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ২৫ মার্চে যে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল তাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানাই।’

ইউরোপের মানবাধিকার কর্মী এবং রাজনীতিবিদরা বাংলাদেশি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দেন। বিক্ষোভে যোগদানকারী ডাচ পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য হ্যারি ভ্যান বোমেল বলেন, ‘স্পষ্টতই পাকিস্তান খুবই নোংরা ও অত্যন্ত ঘৃণ্য ভূমিকা পালন করেছে। আমি মনে করি জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউরোপের কাউন্সিল এবং মানবাধিকার সম্পর্কিত অন্যান্য সংগঠনের উচিত ১৯৭১ সালের হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া। এই স্বীকৃতি কেবল গণহত্যা প্রতিরোধেই নয়, গণহত্যায় যারা নিহত হয়েছিল তাদের সম্মান জানাতেও প্রয়োজন।’

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post দেশের ৪০ ভাগ মানুষের জন্য টিকা পাঠাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
Next post শহীদ জিয়া বাকশালের গুহা থেকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন : রিজভী
Close