Read Time:2 Minute, 50 Second

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে বহু বছর ধরেই। পাল্টাপাল্টি দোষারোপও চলছে। সম্প্রতি দুই দেশ একে অপরের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে। এ প্রেক্ষাপটে আশার বার্তার নিয়ে ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত শিন গ্যাং

বুধবার রাতে ওয়াশিংটন পৌঁছে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বন্ধুত্বের বার্তা দেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রের চীনের রাষ্ট্রদূত হতে পেরে গর্বিত। ৫০ বছর আগে হেনরি আলফ্রেড কিসিঞ্জার গোপনে চীন সফর করে চীনের দরজা খুলে দিয়েছিলেন। শীতলযুদ্ধের সময় দুই দেশ একে অপরের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। তাই কিসিঞ্জারকে গোপনে চীন সফর করতে হয়েছিল। ৫০ বছর পর আমি যুক্তরাষ্ট্রে চীনের একাদশ রাষ্ট্রদূত হিসেবে এসেছি। আমি বিশ্বাস করি, দু’দেশের দরজা পরস্পরের জন্য খোলা রয়েছে এবং কখনও তা বন্ধ হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রে চীনের নব-নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র দুটি বড় দেশ, যাদের ভিন্ন ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ভিন্ন সামাজিক ব্যবস্থা ও উন্নয়নের ভিন্ন পথ রয়েছে। দু’দেশের সম্পর্কও উন্নয়নের নতুন পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে উভয়কে অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আবার সামনে বিরাট সুযোগও রয়েছে। দু’দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন বিশ্বের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং প্রায়ই বলেন-সামনে পাহাড় পড়লে পথ নির্মাণ করতে হবে, জল পড়লে সেতু নির্মাণ করতে হবে। আবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, সবকিছুই সম্ভব। আমি দু’দেশের নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের আলোকে, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে যোগাযোগ ও সহযোগিতার সেতু গড়ে তুলবো এবং উভয় দেশের সম্পর্কের ভিত্তি সুরক্ষা করব।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতের
Next post আটলান্টিক সিটিতে হয়ে গেল জমজমাট ‘বাংলাদেশ মেলা’
Close